নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমিন হোসেন গংরা নির্মান কাজ চালালে তাতে বাঁধা দেয়ায় প্রাননাশের হুমকি প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিক সোমা আক্তার।
এ ব্যাপারে সোমা আক্তার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন যার নম্বর – ১৬১৮ তারিখ -২১/৫/২০২৩ইং।
সোমা আক্তার গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন দীর্ঘদিন যাবত চিহ্নিত ভূমিদস্যুআমিন হোসেনগং আমার পৈত্রিক ও ক্রয়সুত্রে পাওয়া জমির ১.২৫ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দখল করে আছে আমিন হোসেন গংরা।বার বার দখলকৃত জমি ছেড়ে দিতে বললেও তারা তা ছাড়েনি।
জিডিতে ভূইগড় এলাকার মৃত: মহিউদ্দিন ও হাবেজা খাতুনের কন্যা সোমা আক্তার উল্লেখ করেন বিবাদী আমিন হোসেন ও সাহেরা বেগম উভয় পিতা-মৃতঃ কদম আলী, উভয় সাং-ভূইগড়, শিরিনা পিতা-আনছার আলী, সাং-দেলপাড়া সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আমার নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি আমার পিতা-মাতার নিকট হইতে হেবা ঘোষনাপত্র দলিল মূলে মালিক হইয়া ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। বিবাদী আমিন হোসেন গং জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করায় আমার মাতা হাবেজা খাতুন বাদী হইয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ এর পিটিশন মামলা নং-১৩৯/২০২১, ধারা ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ দায়ের করে।
উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত আমার মায়ের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং বিবাদী আমিন হোসেন গং দেরকে বর্ণিত সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশে নিষেধ করেন। তারপরও বিবাদীরা বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করিয়া বর্ণিত সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করিয়া আসিতেছিল। গত ইং-২১/০৫/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বর্ণিত সম্পত্তি জোর পূর্বক জবর দখল করার উদ্দেশ্যে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে। আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন বিবাদীদেরকে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। বিবাদীরা যে কোন সময় বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া বর্ণিত সম্পত্তিতে স্থাপনা স্থাপনের কাজ করিতে পরে। আমরা বাধা দিতে গেলে সেখানে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি সহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটনার সম্ভাবনা আছে।
অভিযোগকারী সোমা বলেন, ভূঁইগড় মৌজাস্থিত সি.এস-১৫১. এস.এ-২৬২, আর.এস-১২৮ নং খতিয়ান ভূক্ত সি.এস ও এস.এ- ১০৬৭. আর. এস-১৯৫৬ নং ১৭ শতাংশ হইতে ১০ শতাংশ এর কাতে ১.২৫ শতাংশ। এ বিষয়ে আদালত কর্তৃক ১৪৫ ধারার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তবুও প্রতিপক্ষ জোড়পুর্বক বাড়ি নির্মানের কাজ করছে। উপায়ন্তর না পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগের পর আগত সহকারী উপপরিদর্শক মো.হাবিব আমাদেরকে বলেন,মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে ঘরটুকু নির্মান করতে দেন। তিনি আরও বলেন,আদালত যেখানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেখানে পুলিশ কাজ বন্ধের পরিবর্তে কিভাবে মানবিকতা দেখাতে বলেন তা বোধগম্য হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগের পর আগত সহকারী উপপরিদর্শক মো.হাবিব এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি সংবাদ শুনে সাথে সাথে সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসেছি।
এ ব্যাপারে সোমা আক্তার প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।