রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত এই জেলা শিল্পনগরী, ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্যতম। শিল্প নগরী হওয়াতে এ জেলায় জনসংখ্যা দিন দিন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো শহরের যানজট। বর্তমানে এ শহরে সময় মতো অফিসে যাওয়া যেমন কষ্টকর তেমন এমবুলেন্স নিয়ে কোন মুমূর্ষ রোগী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আরো দুষ্কর। জেলা ট্রাফিক বিভাগ যানজট নিরসনে যেন নিরুপায়। সচেতন মহল বলছে এ জেলা কে সুন্দর করে সাজানো ও পরিপাটি করে রাখার জন্য শুধু পরিকল্পনা নয় তা বাস্তবে রূপ দেয়া প্রয়োজন।
সরজমিনে জেলার যানজটের মূল কারণ গুলো খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত দখল করে শত শত হকার বসানো। যার কারণে সাধারণ মানুষ দাড়ানো তো দূরের কথা হেটে চলাচল করাটাও কষ্ট কর। একই রোডে আরো দেখা যায় ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যক্তিগত গাড়ি পাকিং করে রাখা হয়েছে যার কারণে কিছু কিছু জায়গায় দুই (২) লেনের সড়ক এক (১) লেনে পরিণত হয়েছে। নগরীর ২নং রেল গেট থেকে ১নং রেল গেট পযর্ন্ত আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি। এ সড়কে হকারের পাশা পাশি দেখা মিলবে সড়ক ব্লক করেই বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। তাতে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজটের। ১নং রেল গেট থেকে কালিরবাজার ১৬ তলা পযর্ন্ত রাস্তা জুড়ে হকার বসানো। সড়কটি দুই (২) লেনের হলেও বছরের পর বছর এক (১) লেনে গাড়ি আসা-যাওয়া করে।
তবে যানজট নিরসনে ও জনসাধারণের ভোগান্তি এড়াতে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিকে প্রতিবছর অর্থ প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন বন্দর উপজেলার এমপি একেএম সেলিম ওসমান তবে তাতে ও সুরাহা হয়নি এ সমস্যার দিন দিন জেনো আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। রমজান আর ঈদ আসলেই যেনো এমপি সেলিম ওসমানের যানজট নিরসনের নাম করে নারায়ণগঞ্জবাসির প্রতি লোক দেখানো ভালোবাসা বেড়ে যায় কিন্তু রমজান আর ঈদ চলে গেলে জেনো তার ভালোবাসাও হারিয়ে যায়। তবে শুধু রমজান মাসে নয় যানজট র্নিমূল করতে হলে সারা বছর এই উদ্দ্যোগে অটল থাকতে হবে এবং তা বস্তবায়িত করতে হবে কিন্তু সেলিম ওসমানের এমন উদ্দ্যোগ ভোগান্তি কমাতে নয় বরং আরো বাড়াতে থাকেতার এমন আগ্রহে জনজীবন হুমকির কবলে। তাই কাজ করলে পরিপূর্ণ না হলে অসম্পন্ননয়। যানজট বিষয়ে সেলিম ওসমান এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধপাওয়া যায়।
আর নিত্যদিনের যানবাহন ভাড়া আকাশ ছোঁয়া হয়ে পড়েছে সামপ্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে অপর দিকে কোনো উপায়ে ইজিবাইক চাষাড়া প্রবেশ করাতে পারলেই জেনো ইজিবাইক চালকের অধিক টাকা দাবি করছেন। নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া ঢোকার পথে চেক পোষ্ট বসিয়ে ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন গুনছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা।তবে এমন অভিযান শুধুই রমজান মাসে ঈদকে কেন্দ্র করে সারা বছর কেনো নয়। তবে কি ঈদকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের টাকা আয়ের নতুন পথ এই ট্রাফিক অভিযান। তবে কি এমপি সেলিম ওসমান যানজট নিরসনে সহায়তা করলেন নাকি যানজট বৃদ্ধিতে আরো ভুমি কারাখলেনএমনাটই প্রশ্ন এখন জনমনে।
যানজট ও যান বাহন ভাড়াবৃদ্ধি প্রসঙ্গে এক রোগী বলেন আমি আমার চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আগে যেখানে ৩০ টাকা দিয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যাতায়াত করতাম বর্তমানে সেখানে তা বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে এছাড়া তো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তো আসেই তার সাথে পল্লা দিয়ে জেনো মানুষের যাতায়াত খরচ ও বেড়ে চলেছে। এমনটা চলতে থাকলে নগর বাসি এবংজনসাধারণ সস্তি থেকে ভোগান্তির শিকার হবে বেশি তাই প্রসাশনের দৃষ্টি আর্কষণ করবো দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা হোক যাতে করে সুন্দর ও পরিবেশ বান্ধব ভাবে বসবাস করতে পারে নারায়ণগঞ্জ বাসি আর জনজীবনে শান্তি ফিরেআ সে।
যান বাহন ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ইজিবাইক চালক বলেন আমরা দরিদ্র মানুষ আমাদের ও পরিবার আছে ছেলে সন্তান রয়েছে। আমাদের ও স্বপন আছে আমাদের সন্তানদের কে ভালোভাবে দু বেলা দুমুঠো ভালো খাবার খাওয়ানো আমাদের ও ইচ্ছে করে রমজানের ঈদে সন্তানদের ভালো পোশাক পড়াতে মনে চায়। যাত্রীরা মনে করে অটো চালকেরা আমাদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক ভাড়া আদায় করে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে ভালো থাকার জন্যই এমনটা করি আর এছাড়ও আমাদের টাকা আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে চাষাড়া ও কালির বাজার এই দুই পথে প্রবেশে বাধাঁ হয়ে থাকে ট্রাফিক পুলিশ প্রবেশের সময় গাড়ি আটক করে ১০০০ টাকা করে রেকার বিল নামক জরিমানা করে থাকে। আমরা সারা দিন যা ইনকাম করিতাতে আমাদের গাড়ির জমা টাকা উঠাতে হিমশিম খাই। তবে সংসার চালাবো কিভাবে এবং সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাবো কিভাবে? তাই স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি ভাড়া চেয়ে থাকি।আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেনো আমাদের দরি দ্রদের মুখের দিকে তাকায় আমরা জেনো পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারি।