উত্তম কুমার হাওলাদার:- উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্নিবড় বুলবুল। পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকতে জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জনপদে মানুষের সর্বোচ্চ সতর্কতাসহ নিরাপদ আশ্রয় এবং ঘূর্নিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যাপক প্রচরনা চালানো হচ্ছে। মহাবিপদ সংকতে জারির পরে প্রশাসন এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ঝুকিপূর্ন এবং বেরিবাধের বাইরে বসবাসকারী মানুষ ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শুক্রবার রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি ও শনিবার সকাল থেকে মৃদু বাতাসের সাথে হালকা-মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছেগুমট মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারনে মানুষের মাঝে বিরাজ করছে এক ধরনের আতঙ্ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় শুক্রবার বিকালের মধ্যে গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকাররত অধিকাংশ ট্রলার তীরে ফিরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। পায়রা বন্দরের পন্য খালাস প্রক্রিয়া গতকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। বন্দর ও এর আশেপাশের বিভিন্ন চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। এদিকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকদের সমুদ্র ¯œানসহ ভ্রমনের নিষেধাষ্ণা জারি করা হয়েছে। ঘূর্নিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার রাতে জরুরি পর্যালোচনা সভা করেছে বরিশাল বিভাগীয় কমিশার ইয়ামিন আহম্মেদ চৌধুরী। এ সসময় সরকারী দপ্তরের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, পায়রার বন্দর সংলগ্ন উপকূলীয় এ অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকতে জারির পরে প্রশাসন এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সাহাওতায় ঝুকিপূর্ন ও বেরিবাধের বাইরে বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, পটুয়াখালী জেলায় দূর্যোগাক্রান্তদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৪০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূর্যোগ পরবর্তী জরুরী সহায়তার জন্য ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ৩০০ মেট্রিকটন চাল, ৩৫০ বান্ডেল ঢেউটিন, ৩৫০০ পিচ কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া দূর্যোগ প্রস্তুতি, দূর্যোগ মোকাবেলায় এবং দূর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ সহায়তার জন্য সকল সিপিপি সদস্য এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাবেকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।