সেলিম ওসমান এমপি ব্যপক উন্নয়ন ও অর্থ বরাদ্ধ দেয়া সত্বেও সদ্য ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় ঘটেছে কুড়েঁরপাড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এই ফল বিপর্যয়ের জন্য ম্যানেজিং কমিটি সহ কতিপয় শিক্ষকের বানিজ্যকে দায়ী করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
জানা যায়,চলতি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কুড়েঁরপাড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ৫৭ জন পাশ করলেও ফেল করে ৬৮ জন।
পাশের চেয়ে ফেলের সংখ্যা বেশী হওয়ায় পুরো আলীরটেক ইউনিয়ন জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক বহুতল ভবন নির্মান করে দেন। স্থাপন করে দেন ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে বরাদ্ধ দেন নগদ টাকা।
অথচ এমপি এত অবদান থাকা সত্বেও শিক্ষার মান অবনতিতে নানান ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না করে পকেট কমিটি গঠন,স্বজন প্রীতিতে নিজস্ব ও অশিক্ষিত লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া,কয়েকজন শিক্ষক আমজাদ হোসেন,আলী আকবর,আতাউর রহমান,আলমাস আলীর মতো শিক্ষকরা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ইচ্ছে মতো স্কুল পরিচালনা করে লুটপাট করায় এই ফল বিপর্যয় বলে মনে করেন মানুষ।
আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি বর্তমান স্কুলটির সভাপতি হলেও এই ফল বিপর্যয়ের দায় তার উপর বর্তায়। কেননা গত এক বছর যাবত স্কুলটির আহবায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুধু স্কুল সুন্দর হলে চলবেনা শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে না পারলে এমপি অনুদানে নির্মিত স্কুলটির মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হবে।
স্কুলের ফলাফল বিশ্লেষন করে দেখা যায়,কুড়েঁরপাড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় হতে জিপিএ-৪ এর কোটায় কেউ যেতে পারেনি।সবাই জিপিএ-৩ এর কোটায় ও তার নীচে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
কুড়ের পাড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ফল বিপর্যয় তদন্ত করার দাবী জানান অভিবাবক বৃন্দ। বেশী পূরনো শিক্ষকদের অবসর দিয়ে মানসম্মত নতুন উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগের দাবী জানান তারা।