কখনো বিএনপির ব্যানারে থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি আবার কখনো আওয়ামী লীগের ব্যানারে থেকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধ শ্লোগান দিচ্ছে গলাচিপা এলাকার কাজী রবিন গংরা। নাসিক নির্বাচনের সময় ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের পক্ষে মিছিল মিটিং ও ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে।
আবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে প্রশাসনের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি আমজাদকে সাথে নিয়ে কেক কাটাঁর প্রমানও মিলেছে ছবির মাধ্যমে।
এছাড়াও খোরশেদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে একাগ্রতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে। আবার জাতীয় নির্বাচনের সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে ব্যানার নিয়ে প্রচারনায় অংশ গ্রহন করতে দেখা গেছে।
এ বিষয় এলাকাবাসী জানান, রবিন গংরা কখনো বিএনপি আবার কখনো আওয়ামী লীগের ব্যানারে থেকে ঔ এলাকার থান ব্যবসায়িদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা আদায় করতো। পাশাপাশি ঔ এলাকার মাদক ব্যবসায়িদের সাথে সক্ষতাও রয়েছে বেশ শক্তিশালী ভাবে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায়, গলাচিপা জামে মসজিদের সামনে কয়দিন পর পরই বিভিন্ন সংগঠনের নামে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে ওয়াজের নামে মোটা অংকের চাঁদা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, বিভিন্ন সময় ঈদ আসলেতো কোন কথাই নাই। তাছাড়া ঘনবসতি ঔ এলাকায় নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য মেলা বসিয়ে চাঁদা বাজীও করছে তারা।
যার ফলশ্রুতিতে, সুবিদা বাদী রবিন গংরা কখন আওয়ামী লীগ আবার কখন বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও স্থানীয় ৪ ও ৫ আসনের এমপি ও তার ভাতিজার নাম ব্যবহার করে চাঁদা করে বলে অভিযোগ উঠে আসছে এলাকা বাসিদের কাছ থেকে।
এই সকল সুবিদা বাদীদের আইনের আওতায় এনে তাদের চাঁদা বাজীর কবল থেকে ঔ এলাকার ব্যবসায়িদের রক্ষার জন্য স্থানীয় এমপি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করেছেন এলাকাবাসি।