বন্দর উপজেলার আল আমিন জামে মসজিদ কমিটির নির্বাচনে অবৈধ পন্থায় নির্বাচনী চুড়ান্ত তালিকা হতে নাম বাতিলসহ নির্বাচনী প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আবু জাফরের নিকট লিখিত পত্রে হাজ্বী মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ লুৎফর রহমান,আশরাফউদ্দিন খান,মোঃ মাহবুব অর রশিদ ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার স্বাক্ষরিত উল্লেখ করা হয়,মসজিদে রক্ষিত চাঁদা আদায়ের রেজিস্ট্রারে তালিকা ভুক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গন্য করা হয়।
জানা যায়,৭ নং (পশ্চিম) গলির ক্রমিক নং-১ আহাম্মদ দেওয়ানের নাম রয়েছে এবং খসড়া ভোটার তালিকায় আহাম্মদ দেওয়ানের নামে ভোটার করা হয়েছে। কিন্তু চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় আহাম্মদ দেওয়ানের নামের পরিবর্তে তার পুত্র হাজ্বী আব্দুল কায়উমকে অবৈধভাবে ক্রমিক নং-১৪৯ ভোটার করা হয়েছে। যা নিয়ম বহিভূর্ত,অবৈধ ও নির্বাচন বিধির পরিপন্থী।
সাধারণ ভোটাররা জানান,যারা নিয়মিত চাঁদা প্রদান করেছেন এবং চাদাঁ আদায়ের রেজিস্ট্রারে নাম রয়েছে তারাই নির্বাচনে ভোটার যোগ্য। একটি কুচক্রী মহল অবৈধ সুবিধা নিয়ে আব্দুল কায়উমকে ভোটার করেছে। আমরা কায়উমের ভোটার তালিকা হতে নাম বাতিলসহ নির্বাচনী প্রার্থীতা বাতিলের জোর দাবী জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,কাউন্সিল সুলতান আহম্মেদ গত ২২/৩/২০১৯ ইং তারিখ কমিটি বিলুপ্ত ঘোঘনা করেন। ঐ দিন রেজিস্ট্রার খাতা সীজ করেন। তখন ২১৯ জন সদস্য সনাক্ত করা হয়। সেখানে আব্দুল কায়উমের নাম ছিলনা। আহবায়ক কমিটি অবৈধ সুবিধা নিয়ে ( মোটা অংকের) আব্দুল কায়উমকে চুড়ান্ত তালিকায় নামভূক্ত করে। অথচ খসড়া তালিকায় আবদুল কায়উমের নাম ছিলনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আবু জাহের সাংবাদিকদের বলেন,আহবায়ক কমিটি যে তালিকা দিয়েছে সেই তালিকা অনুযায়ী ভোট হবে। তারা যে অভিযোগ দিয়েছে এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নাই ।
আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসিক ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমকে মুঠোফোনে জানান, আমি হাসপাতালে আছি এখন কিছু বলতে পারবোনা।