আনোয়ার হোসেন আনু :- কুয়াকাটার ফাঁসি পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে (মামা-ভাগিনা) দু-গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় ৭ মাসের অন্তসত্তা মহিলা সহ উভয় গ্রুপের ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আহতরা হলেন, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ হানিফ হাওলাদার (৪৮), জিহাদ (২৫), মাহফুজা (৩০),তাজিনুর (২৫),সুমি (২৫),আঃ মান্নান (৬৫), রেজাউল (২৭) মিজানুর রহমান (২৮),ইদ্রিস মাঝি (৬০),নুরুল হক (৫৫), সোহেল (২৮),বনি আমিন (২২), নাসির (৪৫)। আহতদের কুয়াকাটা ও কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই গুরুতর আহত হানিফ হাওলাদার, অন্তসত্তা সুমি, আঃ মান্নান ও রাজ মিস্ত্রী নাসিরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ও আহতদের সুত্রে জানা যায়,ফাঁসি পাড়া গ্রামের হানিফ হাওলাদার ও তার মামা আব্দুর রব হাওলাদারের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেলে নির্মানাধীণ কালভার্টে ব্যবহ্নত একটি তৈলের ব্যারেলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপের আহতরা একজন আরেকজনের আত্মীয় বলে জানান তারা।
আহত বনি আমিনের বড় ভাই দাবী করেন,তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। নির্মানাধীণ কালভার্টের কাজের অনিয়ম নিয়ে মামাত ভাই হানিফ’র সাথে দন্দ সৃষ্টি হয়। কালভার্টের ঠিকাদারের একটি তৈলের ব্যারেল হানিফ হাওলাদারের বাড়িতে জিম্বায় রেখে যায়। রাজমিস্ত্রী নাসির ওই ব্যারেল নিয়ে কালভার্টের কাজে ব্যবহার করছিল। এ নিয়ে হানিফ হাওলাদারের ছেলে রেজাউলের সাথে কথাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয় গ্রুপের মধ্যে দা ছেনা নিয়ে এলাপাতারী কোপাকোপি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাদের পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে। হানিফ হাওলাদারের নাতি আরিফ দাবী করেন,তার নানার সাথে কালভার্টের কাজ নিয়ে দন্দের সৃষ্টি হয়। কালভার্টের কাজ করতে কয়েকবার বাধা দেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা গিয়ে আব্দুর রব মাঝি সহ তার ভাইদের সাথে কথা বলে নির্মান কাজে বাধা না দেয়ার জন্য বলে আসেন। ঘটনার দিন একটি তৈলের ব্যারেলকে সুত্র ধরে তাদের উপর হামলা করে। দা ছেনা নিয়ে তার নানা,মামা ও মামার অন্তসত্তা স্ত্রী সহ ৯জনকে কুপিয়ে আহত করে।
মহিপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন জানান,সংঘর্ষের খবর শুণে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উভয় গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা দায়ের করেনি।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা জানান,হানিফ হাওলাদার ও আব্দুর রব মাঝিদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক অর্ন্তদন্দ চলছিল। তারই জের ধরে হানিফ হাওলাদার ও তার পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় রব মাঝি গ্রুপ। এতে হানিফ হাওলাদার ও তার ছেলের অন্তসত্তা স্ত্রী সহ ৯জন এবং রব মাঝি গ্রুপের ৩জন আহত হওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য তিনি বলেছেন।