পটুয়াখালীর গলাচিপায় জোলেখা বাজারে অব্যবস্থাপনা ও দখলদারদের দখলে রয়েছে বাজারের দুই পাশের রাস্তা। অপরদিকে প্রান্তিক কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে এসে নির্ধারিত টল ঘর (প্রান্তিক কৃষকদের পণ্য বিক্রির স্থান) না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অথচ বাজারটি থেকে সরকার প্রতি বছর কমপক্ষে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা রাজস্ব নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া এলাকায় প্রায় দুই দশক ধরে জুলেখা গড়ে ওঠে। বাজারটিতে গরু-মহিষ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা-বেচা হয়। সপ্তাহের প্রতি সোমবার সকাল থেকে গভীর রাত অবধি চলে কেনা-বেচা। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ছাড়াও দুটি উপজেলার লোকজন এ বাজারে পণ্য নিয়ে আসে। বাজারটিতে নির্দিষ্ট কোন টল ঘর না থাকার কারণে ভাসমান দোকানগুলো রাস্তার দুপাশ দখল করে পণ্যের পশরা নিয়ে বসে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা।
জুলেখা বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, এ বাজারে দেড়শ দোকান ও মুসুল্লীদৈর জন্য একটি মসজিদ আছে। কিন্তু মসজিদের ওযু করার জন্য খালে কোন ঘাটের ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত করতে পারিনি। এ ছাড়া বাজারটিতে একটি টলঘর প্রয়োজন। কিন্তু বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত পাইনি।
এ ব্যাপারে গোলখারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি এমপি মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।