নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের লালমিয়ার চর এলাকায় প্রতিনিয়ত ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, চরবয়রাগাদী এলাকার মৃত মন্নাফ মোল্লার পুত্র চিহ্নিত ডাকাত জালাল ওরফে ডাকাত জালাল ও প্রসন্ননগর এলাকার তাইজুল ইসলামের পুত্র রতন ওরফে ডাকাত রতনের নেতৃত্বে তাদের সহযোগী জামাই কামাল,জামাই রাকিব সহ আরো ১০/১২ জন মুখোশধারী ডাকাত ডাকাতি করে থাকে। প্রতি সপ্তাহে একাধিক ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হলেও ডাকাত দল রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
জানা যায়,ডাকাত জালাল ও ডাকাত রতনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। উভয়ের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের ডাকাত দল লালমিয়ার চর এলাকা দিয়ে চলাচলকারী অটো রিক্সা,সিএনজি,মাইক্রো সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, মূল্যবান জিনিস পত্র,অটো রিক্সা, হোন্ডা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।
গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় ডাকাতির কবলে পড়ে যাত্রী বাহি মাইক্রো বাস।ডাকাতদের হামলায় ফজর আলী ও নাসিরউদ্দিন গুররুতর জখম হন।
ডাকাত দলের কবল থেকে রক্ষা পায়না রোগীবাহী পরিবহন। পার্শ্ববতী এলাকায় হাসপাতাল না থাকায় নারায়ণগঞ্জ – মুন্সিগঞ্জে যেতে হয় মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য। তাদের কাছ থেকেও সব কেড়ে নেয় ডাকাত দল। কেউ বাঁধা দিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়।
পূর্ব চড়গড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজির হোসেন বলেন,লাল মিয়ার চরে প্রতি সপ্তাহে কয়েকবার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এখান দিয়ে প্রতিদিন ভোরে ব্যবসায়ীরা নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে আসা যাওয়া করে। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়।
স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার আমজাদ হোসেন বাঁধনের ব্যবহৃত ২ টি মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
বক্তা বলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন, এমন কোন সপ্তাহ নাই লালমিয়ার চরের রাস্তাটিতে ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়না। এলাকায় কয়েক জন চিহ্নিত ডাকাত রয়েছে। এরা বাইরে থেকে আরো কিছু ডাকাত এনে এই অপকর্ম গুলো করে থাকে। আমিও প্রশাসনকে অবগত করেছি। এলাকায় যারা চিহ্নিত ডাকাত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই আশা করি লালমিয়ার চর হতে চির দিনের জন্য ডাকাতি বন্ধ হবে।