নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটি তে ইন্ডিয়া হারবাল চেম্বার,বনলতা ইউনানী ঔষধালয় ও কলিকাতা ইউনানী মেডিকেল (একের ভিতর তিন) বিরুদ্ধে ভূয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসার নামে জনসাধারনের সাথে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এনিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল উজ্জীবিত বিডি ডটকম , জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.ডট কম,নারায়ণগঞ্জের আলো,সোজাসাপ্টা, ইয়াদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও রহস্যজনক কারনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
অভিযোগে জানা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বসে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন হাকীম আমির হোসেন ভিকু।তার ভিজিডিং কার্ডে লিখা ইউনানী ও আয়ুবের্দিক রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক ও জেনারেল ফিজিসিয়ান,ইউনানী ও হারবাল মেডিসিন,ঢাকা সদস্য বি,ইউ,এম,এ ঢাকা।
চেম্বারঃ কলিকাতা ইউনানী ও বনলতা ইউনানী ঔষধালয় পঞ্চবটি মোড়, মসজিদের দক্ষিন পাশে ২য় তলা,ফতুল্লা।
ভূয়া চিকিৎসক আমির হোসেন ভিকু সর্ব রোগের চিকিৎসক। তার অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন অনেকে। খোদেজা নামে এক বৃদ্ধা ব্যাথা রোগ নিয়ে যান ঔষধ ও খান।আগে প্রস্রাবের সমস্যা ছিলনা।ঔষধ খাওয়ার পর ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াতে নামাজ আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে। ডাঃ ভীকু একাধারে যৌন,চর্ম,হাপাঁনী,স্বাস্থ্যহীনতা,গনোরিয়া,স্বপ্ন দোষ,বাত-
ব্যাথা,গ্যাষ্ট্রিক,আলসার,ডায়াবেটিকস,প্যারালাইসিস,আমাশয়,অশ্ব- পাইলস,টিউমার,ব্রন,মেছতা,মেয়েদের ব্রেষ্ট ছোট বড়,সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা,অনিয়মিত সাদাস্রাব,লিকোরিয়া সহ সকল রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
জালকুড়িঁ এলাকার সুমাইয়া আক্তার,খোদেজা আক্তার,লায়লা আক্তার,ভূইঘর এলাকার শামীম আহম্মেদ জানান,কলিকাতা ইউনানী মেডিকেল বর্তমান বনলতা ইউনানী ঔষধালয় হতে চিকিৎসা নেই।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক হাকীম আমির হোসেন ভীকুর চিকিৎসা দেন।তিনি সাদা কাগজে ঔষধের নাম লিখে সামনে পাঠিয়ে দিতেন।এ জন্য ২০০/ টাকা করে ফি নেন। এক মাসের ঔষধ দেন।কাজ না হওয়ায় পূনরায় তাকে জানালে তিনি রেগে যান এবং আরো ঔষধ খেতে হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে ভিজিডিং কার্ডে দেয়া ০১৭৮০২২৭৭২০ নাম্বারে ফোন দেয়া হলে একেক জন ফোন ধরে কথা বলেন।কেউ পরিচয় দেন নিবারন,রুবেল ও নুর সালাম নামে।
নুর সালাম নামে এক ব্যক্তি ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে মুঠোঁফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,হাকীম আমির হোসেন ভিকু আগে ছিল এখন নাই।তাহলে তার ভিজিডিং কার্ডে চেম্বার হিসেবে কলিকাতা ইউনানী মেডিকেল কেন বলতেই উত্তেজিত হয়ে লাইন কেটে দেন।
নাম প্রকাশ না করে ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান,চটকধারী বিজ্ঞাপন ও পোষ্টার ছাপিয়ে নিরীহ লোকদের জিম্মি করে প্রতিষ্ঠান গুলো ভয়ংকর প্রতারনা করে আসছে। কয়েকজন ডাক্তার বা হাকীম চিকিৎসা দেন।আদৌ তাদের চিকিৎসা সনদ রয়েছে কিনা সাধারন মানুষ জানেনা। সুসজ্জিত ও বিশাল চেম্বার দেখলে মনে হবে সত্যিই বড় চিকিৎসক।আসলে এদের অনেকের সনদ নেই।
ভুক্তভোগীরা ভূয়া হাকিম আমির হোসেন ভীকু ও তাকে আশ্রয় দাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জোর দাবী জানান আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রতি।
সিভিল সার্জন অফিসের মানিক জানান,এ বিষয়টি ডাঃ হুমায়ুন কবির স্যার দেখেন তার সাথে যোগাযোগ করুন।
সিভিল সার্জন অফিস কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়ুন কবির সরকার বলেন,আগে ৩ মাসের ট্রেনিং ছিল। বর্তমানে বন্ধ আছে সরকারের নির্দেশে। ভূয়া হাকীম প্রতিরোধে এটা বন্ধ করা হয়। আমি কয়েকবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি।আমির হোসেন ভীকু যা লিখেছি তা বেআইনী। তাকে ও তার সহযোগীদের পুলিশে দেয়া উচিত। সরকার আয়ুবের্দিক চিকিৎসার জনগনের কাছে পৌছে দিতে সরকারী হাসপাতালে আমাদের নিয়োগ দিয়েছে। তিনি দেখবেন বলে জানান