পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারী ভিজিডি’র চাউলের বস্তা কেটে পুকুরে ফেলে এবং দোকারে তালাবদ্ধ করে রেখে পালিয়ে গেলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনিবুর রহমানের আকস্মিক অভিযানে ধরা খেলেন এক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার এক সহযোগী। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাত করা হচ্ছে এ অভিযোগ পেয়ে তিনি বুধবার দুপুরে হঠাৎ এ অভিযান চালায়। এ সময় পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামের জালাল চাওরের বাড়ি থেকে ছয়টি চাল বস্তা ও পুকুরে ডুবিয়ে ১০ টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চাউল আত্মসাতের অভিযোগে জামাল চাওর নামে একজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির কেরামতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বর্তমানে কলাপাড়া থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পশ্চিম চাকামইয়া স্কুল সংলগ্ন থেকে একটি দোকানে পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ৩০ কেজি করে ১৩ বস্তা ভিজিএফের চাউল উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও উপজেলা সহকারি কমিশণার (ভ‚মি) অনুপ দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ নেতৃত্ব দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এ অভিযান চালিয়ে চাউল উদ্ধার করেন। চাউল আত্মসাতের ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করবেন। প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ ভিজিএফের চাউল আত্মসাতে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির কেরামত জানান, তার ইউনিয়নে মোট ৩০ কেজি করে ২৩০৭ বস্তা চাল বিতরণের জন্য দেয়া হয়েছে। যার অধিকাংশই মঙ্গলবার বিতরণ করা হয়েছে। হয়তো রাতের আঁধারে এ চাউলের বস্তা কেউ চুরি করে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।