ফতুল্লা মডেল থানাধীন বক্তাবলীর আকবরনগর গ্রাম আবারো অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে জয়নাল মন্ডল হত্যা মামলার আসামী সামেদ আলী ও সন্ত্রাসী রহিম বাহিনী।
নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে এলাকা ভিত্তিক বৈঠক করে দলকে সুসংগঠিত করতাছে এক সময়ের দুই চিরশত্রæ ও বর্তমানের পীরিতের বন্ধু হাজ্বী সামেদ আলী ও হাজ্বী রহিম।
নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করে মানুষ জানায়,১৫ জুন সকালে বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগর সিবাইয়া ঘাট এলাকায় গোপন আলোচনা সভা করে রহিম ও সামেদ আলী সহ তার ক্যাডার বাহিনীর লোকজন।
তাদের টার্গেট আর ২ মাস পর ইটভাটা গুলোতে ইট উৎপাদন শুরু হবে। ইটভাটা গুলোতে মাটি, বালু ও কয়লা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মালামাল তারা ছাড়া যেন কেউ না দিতে পারে। ভয় সৃষ্টির লক্ষে সামেদ আলী ও রহিম আলী বাহিনীর লাঠিয়াল গনি,আরিফ,নবী, কবির, আলমগীর, সজীব,হৃদয় ২৫/৩০ সদস্য তৈরী করা হইছে। এদের কাজ হবে কে কে ইটভাটা গুলোতে মাটি,বালু, কয়লা সহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিতে চায় তাদের চিহ্নিত করে প্রথমে হুমকি দেয়া। তাতে কাজ না হলে রাতের আধারে ধরে এনে সাইজ করা।
এক সময়ের দুই চিরশত্রæ এখন এক হয়ে পুরো আকবরনগরকে শাসন করছে। তাদের অপকর্মে যারা প্রতিবাদ করেছে তার মধ্যে আকবরনগর গ্রামের প্রতিবাদকারী ইব্রাহীম মন্ডল,আলেক মন্ডল, আসলাম মন্ডল, ইয়ানুস মন্ডল, মোখলেস ও মজিবরের বাড়িঘরে ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে স্বর্ন,নগদ টাকা,টিভি, ফ্রীজ,মোবাইল ফোন,খাট- আলমারী,গরু সহ মৃল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।যার আনুমানিক ক্ষতি ২ কোটি টাকা বলে জানান ইব্রাহীম মন্ডল।
শুধু তাই নয় উল্লেখিতদের মারধর করে পৈত্রিক বসতবাড়ি হতে উচ্ছেদ করায় ইব্রাহীম মন্ডল, আলেক মন্ডল,আসলাম মন্ডল,ইয়ানুস মন্ডল,মজিবর ও মোখলেস পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার পূর্ব জাজিরা গ্রামে বসবাস করছে। তারা এলাকায় ফিরে আসতে চাইলেও সামেদ – রহিম বাহিনীর অব্যাহত হুমকি ধামকির কারনে এলাকায় ফিরে আসতে পারছেনা।
এখনই রহিম- সামেদ বাহিনীকে দমন করা না হইলে আকবরনগর অশান্ত হইবো বলে জানায় সচেতন মানুষ।এদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা ও সিরাজদিখান থানায় ২৫/৩০ টি মামলা রয়েছে। গ্রাম ছাড়া ইব্রাহীম গংরা এলাকায় ফিরে আসতে নারায়নগঞ্জের পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপারে হাজ্বী রহিম মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।