মাসদাইর পৌর শ্মশানের পুকুরে মাছ ধরতে বাধা দেয়ায় শ^শানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সৎকারকর্মীকে বেধড়ক মারধর,বাড়িঘর ভাংচুর,প্রতিমার গায়ে থাকা স্বর্নালংকার লুট নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাংসদ শামীম ওসমানের বিয়াই আলহাজ ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলুর ভাতিজা সানীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাত আনুমানিক ১২টায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান শ্মশানে থাকা সৎকারকর্মীর স্বজনরা। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ^াসসহ নাসিকের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে যান।
সরেজমিনে শ্মশানে গিয়ে জানা যায়,বুধবার রাত ১২টায় ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলুর ভাতিজা সানী তার কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে শ্মশানের প্রবেশমুখে রক্ষিত পুকুরে মাছ ধরতে যায়। এতে বাধা করেন সৎকারকর্মী টনি ডেমসহ কয়েকজন ডোম। তখন সানীসহ সঙ্গীয়রা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও কিছুক্ষন পর প্রায় ২০/২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিয়ে শ্মশানের ভেতরে অবস্থিত টনি ডোমের ঘরে হামলা চালিয়ে উভয়পাশের জানালার গøাসগুলো ভাংচুর করে এবং টনির ঘরে কয়েকটি প্রতিমার গলায় থাকা প্রায় ৮ ভরি স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় সানীগংরা। এ সময় টনিসহ তার ছোটভাই তপনকে বেধড়ক মারধর করে সানীগং।
এ সময় সানীগংদের অতর্কিত হামলায় টনি ও তার ছোটভাই তপন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা টনিকে খানপুর ৩০০ শষ্যা হাসপাতালে এবং তপনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত টনি জানান,যারা এ অপরাধকর্ম করেছেন তারা বিভিন্ন মানুষ দিয়ে আমাকে মুঠোফোনে হুমকী প্রদান করছেন এবং বলছেন যেন তাদের নাম প্রকাশ না করি। তাদের নাম প্রকাশ করলে ছোটভাই তপনের মত অবস্থা আমাকেও করবে বলে শাসাচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌর শ্মশানের লাশ সৎকার এর প্রধান শান্তি ঘোষালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কিছুই জানিনা কে বা কারা করেছে এ কাজ। তবে সিটি কর্পোরেশনকে বলা হয়েছে। তা কি ব্যবস্থা নেবে কিংবা নেবেনা সেটা তাদের ব্যাপার। কারা এ হামলা চালালো তাদেরকে বিষয়ে কিছু জেনেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,না সে বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া এনসিসি ১৫ নং কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ^াসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি এবং সবকিছুই দেখলাম। এ ঘটনার কি ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এটা একটি প্রতিষ্ঠান কোন ব্যক্তি মালিকাধীন নহে। অপরাধীর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এমন ঘৃনিত কাজ করেছে তারা নাকি আহত ব্যক্তিকে হুমকী দিচ্ছেন নাম না বলার জন্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ন তার বিষয়। তিনি যদি মনে করেন এখানে চাকুরী করবেন তাহলে অবশ্যই অপরাধীর নাম তো বলতে হবে। আর যদি চাকুরী না করেন তাহলে তাকে কিছুই বলতে হবেনা।