নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার লালপুর এলাকায় পরকিয়ার প্রেমের টানে ৪ সন্তানের জননী প্রাবাসী নাসিরের সাথে পালানোর সময় হাতে নাতে আটক হলো স্বামীর কাছে। এ ঘটনা ঘটেছে গত ২২ মে সকালে ।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন আব্দুল খালেকের মেয়ে ময়না আক্তার (৩০)। সে লালপুর তৃতীয় স্বামী নিয়ে বসবাস করছে। তার তিন ঘরের ৪টি সন্তান রয়েছে। প্রথমে একজন গামেন্টর্স কর্মীর সাথে বিয়ে হয়। পরে সেখান থেকে পরকিয়া করে আরেক স্বর্ণকারের সাথে পালিয়ে ২য় বিবাহ করে। এরপর স্বর্ণকার মজনু নেশা করে স্ত্রীকে মারধর করে। পরে সে এক সন্তানের মা হয়ে ময়না তার বাবার বাসায় চলে আসে। এরপর সেখানে থেকে সে গামের্ন্টসে চাকুরী নেয়। পরে একাধিক ছেলের সাথে প্রেম করে একপর্যায় ২০০৪ইং সালে মাহবুব আলম নামের আরেক ভদ্রলোকের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখে কাটে । তাদের তিনটি সন্তান জন্ম নেয়। এক পযার্য় ময়নাকে মাহবুব এর সংসার উজ্জ্বলময় গড়ে উঠে। মাহবুবের সংসারে থেকে ফেসবুকে প্রবাসী এক যুবকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। একপর্যায় তারা ঘর বাধার স্বপ্নে গত ২২ মে সকাল সাড়ে ৮টায় পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে ধরা পরে স্বামী মাহবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে । এরপর ময়নাকে মারপিট করে পাড়ার মানুষ যাতে জানতে না পারে সেজন্য তারা প্রবাসী নাসির কে গালমন্দ ও গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। এরপর স্থানীয় বেশ কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা মিলে ঐ লাম্পট্য নারীকে বিভিন্ন ভাবে কথা বলে তার মা বাবাকে জানিয়ে সংসার মিলিয়ে দেয়া হয়। ময়নার মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষেধ করা হয়। সে আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে না সহ ভাল হয়ে যাওয়ার শর্তে তাকে স্বামীর পরিবার মাফ করে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনা এখন ঘরে ঘরে এমনটাই বলছেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে কোন মামলা বা অভিযোগ হয়নি ফতুল্লা মডেল থানায় ।