মেহেদী হাসান (রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী )প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়ানে আমলা ভাঙা খাল। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কাজীর হাওলা ও কাচিয়া বুনিয়া এই দুই পাড়ের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য আমলাভাঙ্গা খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসীর অর্থায়নে একাধিকবার সাঁকোটি মেরামত করা হলেও এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। একপাড়ে দক্ষিণ কাজির হাওলা, অন্যপাড়ে কাছিয়াবুনিয়া গ্রাম এই দুই গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষের যোগাযোগ ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। তাও এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে সাঁকোটির উত্তর পাড়ে দক্ষিণ কাজলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ পাড়া হামিদিয়া রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা এই দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করছে। প্রতিদিন স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। প্রতিদিন অন্তত দের হাজার মানুষ এ সাঁকো দিয়ে আসা যাওয়া করে। এদেরমধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রতিদিনই নড়ক (সাঁকো) পেড়িয়ে তাদের পাঠগ্রহণ করতে হয়। শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করছে। তারা ওই সাঁকোটি পেড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করে।শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।’এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীদের কথাচিন্তা করে এখানে একটা সতেু নির্মাণ করা খুবই জরুরী।যেকোন সময় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে বলে জানান এলাকাবাসি।
হামিদিয়া রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমলা ভাঙ্গা খালের ওপর এই বাঁশের সাঁকোদিয়ে আমার মাদ্রাসায় প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আসা যাওয়া করে। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুব জরুরী। দক্ষিণ কাজিরহাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, এই সাঁকোটি ঝুকিপূর্ন হওয়া অনেক ছাত্র ছাত্রী পানিতে পরে যায় ।তাই ছাত্র ছাত্রী ঠিক মত স্কুলে আসতে পারেনা। এব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমলাভাঙ্গা খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি খুবই ঝূঁকিপূর্ণ। বিষয়টি উর্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।