আনোয়ার হোসেন আনু:- পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সূধী সমাবেশ ও সংর্বধণা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার রাতে কুয়াকাটা পর্যটন হলিডে হোমস মিলনায়তনে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লার সভাপতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারের গত দশ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। তাই দেশের মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় এনেছে। এদেশের মানুষ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। দেশে বৈদেশিক মুত্রার আয় অতিতের তুলনায় প্রায় চার’শ গুন বেড়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১৭’শ ডলার। বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নাই। ২০২১ সালে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ৩৪ হাজার মেঘাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ এখন নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে। খুব শীঘ্রই মধ্যম আয়ের দেশে আমরা উন্নতি করবো ইনসাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামাত সরকার আমলে দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের পরিবর্তে জনগনের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে বিএনপি। দেশে বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ৬৩ জেলায় একই সময় বোমাবাজি করেছে। চট্রগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালান আমদানী করেছে। আওয়ামীলীগের রাজনীতি চিরতরে শেষ করে দেবার জন্য একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। এসবের সবকিছুর মুলে ছিলেন তারেক জিয়া। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট । বিএনপি যুদ্ধাপরাধী জামাতকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করেছে। জামাতের রাজনীতি এখন শেষ পর্যায়ে। তারা ধর্মের নাম বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। জামাত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কোরআনের আলোকে রাষ্ট পরিচালনার জন্য একটি আইনও পাশ করেনি। অথচ তারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করছে। রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে জেল খাটছেন। খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে পলাতক রয়েছেন।
মাহবুব আলম হানিফ ড.কামাল হোসেন’র সমালোচনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একটি আসন ছেড়ে দেওয়ায় সেই আসন থেকে একবারই এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার পর থেকে একবারও নির্বচনে জয়লাভ করতে পারেননি। সেই ড. কামাল হোসেন এখন বিএনপির হাল ধরেছেন। তিনি এখন বিএনপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। কামাল হোসেন গণস্বাক্ষরের নামে জনগনের সাথে গণ তামাশা করেছেন।
প্রধান অতিথি সুধী সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেশ বিদেশে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও সূর্যোদ্বয় সুযাস্তের বিরল সৌন্দর্যের কুয়াকাটার প্রকৃতি ও পরিবেশ দেখে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি এসময় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লাকে একটি মাষ্টারপ্লাণ তৈরী করে এমপির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানোর জন্য বলেন। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পটুয়াখালী-৪ অসনের সংসদ সদস্য মো.মহিব্বুর রহমান মুহিব সমুদ্র ভাঙ্গন রোধে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান অতিথির সহযোগিতার আহবান করলে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবেন বলে আশ্বাস্থ করেন হানিফ।
সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা আ.লীগ নেতা আমজাদ হোসেন রাজু, পটুয়াখালী জেলা আ.লীগের সহ সভাপতি শাহাজালাল বাচ্চু মোল্লা, জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ সভাপতি মুরসালিন আহম্মেদ,এমপি পুত্র মোহাইমেনুর রহমান শোভন প্রমুখ।
এর আগে সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান,কুয়াকাটা পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ,কুয়াকাটা পৌর আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,শ্রমীকলীগ,বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।