২৮ই জুন’২০১৯ শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে আসন্ন ২০১৯-২০ জাতীয় বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং, আবাসন, শিক্ষা, পরিবহন, শিল্প অঞ্চল ভিত্তিক হাসপাতালসহ মৌলিক বরাদ্দের দাবীতে সমাবেশ ও লাল পতাকা র্যালী অনুষ্ঠিত। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেডারশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, সহ-সভাপতি মিসেস সুইটি, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মোঃ লিমন হাওলাদার, মিরপর আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তাহেরুল ইসলাম, আহমেদ ফ্যাশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য মিসেস সানি, রিনা, সুমন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্য সুলতানা বেগম বলেন দেশের ৮৪ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অথচ এ খাতের শ্রমিকরা নানা কারণে অবহেলিত। কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা নেই, পর্যাপ্ত বেতন সুবিধাও পায় না তারা। প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৫ কোটি ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে শ্রমিকদের জন্য কিছু নেই। বাজেটে এ খাতের শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে একটা বরাদ্দ দেওয়া হোক।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থ বৎসরের বাজেটে পোষাক রপ্তানিতে গার্মেন্টস শিল্পের মালিকদের জন্য ১% নগদ সহায়তা ঘোষণা করেছেন, এজন্য বাজেটে অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা এর পূর্বে মজুরী বৃদ্ধির সময় সুদ কমানোসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা সরকারের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন। আমরা মোটেও এর বিরোধীতা করছি না। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিকদের সময় এর সামান্য বরাদ্দও থাকছে না কেন? শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণের দাবীর প্রতি সরকারের গুরুত্ব দিবে এবং আসন্ন ২০১৯-২০ জাতীয় বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং, আবাসন, শিক্ষা, পরিবহন, শিল্প অঞ্চল ভিত্তিক হাসপাতালসহ মৌলিক বিষয়ে বরাদ্দের দাবী জানাচ্ছি।
সুনির্দিষ্ট দৃশ্যমান বাজেটে বরাদ্দ দাবী করে বলেন, চলতি অর্থ বছরের সম্ভাব্য চার লক্ষাধিক কোটি টাকার জাতীয় বাজেটে দেশের প্রায় ৪৫ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকদের পরিবারের ৪ কোটি সদস্যের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখার দাবি । দেশের ৫ হাজার ৫শ’ গার্মেন্টস কারখানায় স্বল্প মজুরী, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অনিরাপদ সন্তান প্রসব ব্যবস্থা, পরিবহন সঙ্কট, শিল্প এলাকা ভিক্তিক শ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল, শিশু সন্তানদের জন্য ‘শিশু লালন কেন্দ্র’ এবং বাসস্থানসহ নানা ধরণের সমস্যা রয়েছে। এ ধরণের সমস্যা দূর করা গার্মেন্টস মালিক, বায়ারদের হলেও রাষ্ট্র ও সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। বিগত বাজেটগুলোতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানের কোনো দিক নির্দেশনা ও বরাদ্দ না থাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন। এসব সমস্যাসমূহ দূর করতে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে চলতি ২০১৯-২০রেশনিং, আবাসন, শিক্ষা, পরিবহন, শিল্প অঞ্চল ভিত্তিক হাসপাতালসহ মৌলিক খাতে শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।