আনোয়ার হোসেন আনু:- পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আলোচিত নতুন ট্যুরিস্ট স্পট চরবিজয়ে ব্যাপক উল্লাস উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে ২দিন ব্যাপী উৎসব পালন করে চরবিজয় সোসাইটি। চার দিকে সমুদ্র মাঝখানে বিশাল এলাকা জুড়ে জেগে উঠা চরের মাঝে তাবুর নিচে রাত কাটানো এক অন্য অনুভুতির কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গতকাল (৬ ডিসেম্বর) শেষ করছে আয়োজক কমিটি। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ব্যানার ফেষ্টুন, ঘুড়ি উৎসব,ঝাকিজাল দিয়ে মাছ ধরা,রাতে ক্যামফায়ার,ফানুস উৎসব,বাউলগানের আসর,জারি গান ছিলো মুল আর্কষণ।
চর বিজয় সোসাইটির আয়োজকরা জানান, ২০১৭ সালের শেষের দিকে ৪ ডিসেম্বরে চরবিজয় নামক এই চরটি সন্ধান মেলে।
সাংবাদিক হোসাইন আমির নেতৃত্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে ট্যুর পাগল সাংবাদিক আরিফুর রহমান,কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান,সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাও মাঈনুল ইসলাম মান্নান,কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের পরিচালক ও শিল্পী জনি আলমগীর, ঢাকার দুই পর্যটকসহ মোট ১৩ জন মিলে ঘুরতে বেড়হলে সন্ধ্যান পান এ আকর্ষনীয় দৃষ্টি নন্দনীয় চর।
বিজয়ের মাসে এ চরটাকে খুজে পাওয়ায় তার নাম দেওয়া হয় চর বিজয়। ওই বছরই দেশে বিদেশে ব্যাপক সারা মিলে কুয়াকাটার নতুন স্পট। তাই ব্যাপক উল্লাসের মধ্যে দিয়ে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান পালন করেন চর বিজরে সোসাইটি। এতে অর্ধশত পর্যটক ও স্থানীয়রা মিলে অংশনেন। এ সময় উৎসবে অংশ নেওয়া কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম শফি বলেন, সাগরে মাঝখানে কুযাকাটার এর চরবিজয় ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের এখানে বিদেশী ট্যুরিস্টদের জন্য এসক্লেুাসিভ কোন জোন নাই তাই এখানে এসে যা দেখলাম তাদের জন্য খুব ভালো একটি জায়গা। সরকার এটাকে নজর দিলে কুয়াকাটা আ একধাপ এগিয়ে যাবে। আয়োজকের অন্যতম সদস্য সাংবাদিক আরিফুর রহমান জানান, খুব সফল ভাবে আমাদের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। সাগরের মাঝে তাবু খাটিয়ে পর্যটদের রাত কাটানোর অনুভ’তি ছিলো অন্যতম আকর্ষণ। আশাকরি কুয়াকাটার এ চরবিজয় এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে। পর্যটক ঢাকা থেকে দম্পত্তি সিমা আক্তার (৪০) জানান, জীবনেরএই প্রথম সমুদ্রের মাঝে রাত কাটানো এ আনন্দ আমার জীবনে ইতিহাস হয়ে থাকবে ধন্যবাদ জানাই আয়োজকদের। আয়োজকদের অন্যতম আর এক সদস্য কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান জানান, কুয়াকাটাকে বিশ্বেকাছে পৌছে দিতে আর একটি ট্যুরিস্ট স্পট বাড়লো। এ চরবিজয়ে লক্ষ লক্ষ অতিথি পাখি ও লালকাকড়ার বিচারণ যা পর্যটকদেও দারুন ভাবে আকৃষ্ট করে। তাই সরকাওে কাছে এটিকে অভয়অরন্য ঘোষনা করার দাবী জানাই। এ উৎসব আমরা প্রতি বছর পালন করার ইচ্ছা আছে।