আসন্ন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘিরে ভোটার ও এলাকাবাসীর মাঝে চলছে হিসাব নিকাশ। এ পর্যন্ত ২জন প্রার্থী রয়েছে নির্বাচনী মাঠে।
এরা হলেন ২ বারের নির্বাচিত সাবেক সফল চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব মোঃ নওশেদ আলীর ছোটভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি,সমাজসেবক ও দানবীর আলহাজ্ব মোঃ ফজর আলী,বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জসিমউদদীন।
সরেজমিন গোগনগর ইউনিয়নে সৈয়দপুর,চরসৈয়দপুর,বারিরটেক,মসিনাবন্দ, গোপচর,সুকুমপট্রি, কদমতলী সহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা যায়, আগামী নির্বাচন ঘিরে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা।কেমন প্রার্থী চান এমন প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভোটার রা জানান,যিনি কোন লোক বিপদে পড়লে তার কাছে গেলে নগদ আর্থিক সহযোগিতা পাবে,পানি নিষ্কাশন সহ যাতায়াত (রাস্তাঘাট) করতে পারবে,শিক্ষার উন্নয়নে স্কুল,মসজিদ,মাদ্রাসায়,কবরস্থানে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবে, খেলাধুলা ও সামাজিক উন্নয়নে এবং বিচার শালিশ নিরপেক্ষ ভাবে পালন করবে এমন লোক কে এবার নির্বাচিত করবো।
ভোটার ও এলাকাবাসীর বিবেচনায় সবদিক দিয়ে বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও দানবীর আলহাজ্ব মোঃ ফজর আলী এগিয়ে রয়েছেন।ফজর আলীর সাথে রয়েছেন সদর থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা সহ প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।বড় ভাই নওশেদ আলীর স্মরনে স্মরণ সভা,আলোচনা সভা,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বল্পভাষা ব্যবহার ও গঠনমুলক বক্তব্য দিয়ে সকলের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন ফজর আলী।
সেই দিক দিয়ে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান ঘোষিত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ জসিমউদদীন বড় ধরনের পথসভা,উঠোন বৈঠক ও আলোচনা সভা করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে একটি বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে আসন্ন গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা,ধানের শীষ কিংবা লাঙ্গল কোন ফ্যাক্টর হবেনা। ফ্যাক্টর হবে ব্যক্তি ইমেজ।
একটি সুত্র মতে,ফজর আলী আগে থেকে, স্কুল,মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ওয়াজ মাহফিল,সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠন সহ নিরীহ গরীব মানুষদের নগদ অর্থ সাহায্য করে সকল প্রার্থী কে পিছনে ফেলে দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে কয়েক টি বিচার শালিশীতে ন্যায্য রায় দিয়ে জনমনে পাকাপোক্ত স্থান করে নিয়েছেন। জসিমউদ্দিন সহ যা অন্য প্রার্থীরা এখনো পর্যন্ত করতে পারেননি।
আলহাজ্ব মোঃ জসিমউদদীন সাংসদ সেলিম ওসমানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় প্রচার প্রচারণা তেমন চালাচ্ছেন না বলে জনশ্রুতি রয়েছে। অপর দিকে ফজর আলী এলাকায় গেলে শতশত মানুষের ভীড় জমে যায়। শহরের ২নং রেলগেইট এলাকার ফজর আলী ট্রেড সেন্টার সবসময় লোকে লোকারন্য হয়ে থাকে।জসিমকে সবসময় গুটি কয়েকজন লোক নিয়ে চলাফেরা করতে দেখা যায়।যা আগামী নির্বাচনে হীতে বিপরীত হয়ে উঠতে পারে।
সব মিলিয়ে গোগনগর ইউনিয়নে নির্বাচনী আমেজ পরিলক্ষিত হলে সদর উপজেলার বাকী ৬ টি ইউনিয়নে তেমন একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।