বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, তারঁ বীরত্বের জন্য দেশের মানুষ ও শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব তাকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছেন, বাবার দেয়া স্বীকৃতি শেখ হাসিনা ইচ্ছে করলেই কেঁড়ে নিতে পারনে না। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন এ দেশে লাখো কোটি নেতাকর্মী বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় অাছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা, জুলুম, নির্যাতনের মাধ্যমে বর্তমান ভোট বিহীন সরকার দেশকে বৃহত্তরকারাগারে পরিনত করেছে।
দেশের মানুষ আজ এই সরকারের কারাগারে বন্ধি, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, জিনিস পত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশে দূর্নীতি আর লুটপাটের মহাৎসব চলছে। দেশের মানুষকে এ ভোট বিহীন সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। দেশ ও মানুষকে রক্ষা করতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে পূনরায় ক্ষমতায় এনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্রী করতে হবে। ৩০ মে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠিতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের ৪১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ফতুল্লা হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবদী শ্রমিক দল ফতুল্লা থানা শিল্পাঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশে না সারা বিশ্বে গনতন্ত্রের জন্য একজন জনপ্রিয় নেত্রী, তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী, তিনি নির্বাচনে কোনো আসনে পরাজিত হননি। শেখ হাসিনা ঢাকায় বিএনপির সাদেক হোসেন খোকা, মেজর মান্নান, রংপুরে জাতীয় পার্টির নুর মোহম্মদ মন্ডলের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, সাহস থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ আপনাদের কয়টা ভোট দেয়। তাহলেই আপনাদের জনপ্রিয়তা প্রমান হয়ে যাবে। জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চলনায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসাইন, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ সভাপতি মেহেদী অালী খান, সহ সাধারন সম্পাদক মিঞা মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গফুর, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, বিআইডব্লিউটিএর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দীন, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ওমর আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আলমগীর, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ।
সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সহ সভাপতি আবদুল মান্নান মুন্সী, মোঃ আল আমিন, শ্রমিক দল নেতা মোঃ জসিম, মোঃ জামিল, মোঃ মামুন, অাল আমিন, মোঃ জামাল, মোঃ সেলিম সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।