নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি মোঃ বাবুল:- সাম্প্রতিক একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কয়ড়াপাড়া গ্রামে সাবেক প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে মব করে আটকে রাখা হয়েছিল এমনকি সংবাদ এর ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র স্বৈরাচার সরকারের আমলে অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সাবেক প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার বলে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি,বিভিন্ন অনিয়মের ও দুর্নীতির কারণে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে প্রশাসনিক তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ফেরার জন্য বিভিন্ন নাটকিয় পাঁয়তারায়লিপ্ত হয়েছেন তিনি।
ৎ
মিল্লাদের নামে পাশের গ্রামের একটি আওয়ামী লীগের কুচক্র মহলকে নিয়ে নাটকীয়তার মাধ্যমে আবারো সক্রিয়ভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন তাজুল ইসলাম। বিএনপি’র দলীয় নেতাকর্মীদের গত ১৭ বছর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শান্ত না হয়েও এখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস সহ এলাকার মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেকে নাটকীয় ভূমিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিনের বাড়িতে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে, এমন পাগলামির খবর পেয়ে এলাকার স্থানীয় লোকজন ও নেতা কর্মীরা এগিয়ে এলে ,জীবন বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান তিনি।
পরে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাজুল ইসলামকে স্থানীয় উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানার একটি কক্ষে রাখা হয়।
এ দিকে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান থানায় একটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, বিকেলে তাজুল ইসলাম তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন।কিন্তু পুলিশ আবেদন ফেরত দিলেও মিথ্যা অভিযোগ হওয়ায় সেটি আমলে নেয়নি।
সোমবার সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাবেক প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষক তাজুল ইসলাম ৯৯৯-এ ফোন করে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তাকে থানায় থেকে বিদায় দেওয়া হয়। তদন্ত ছাড়া কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার সুযোগ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পদ-পদবি নিয়ে ও মাস্টার নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ করেন।অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে তাকে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তর পর থেকেই প্রধান শিক্ষক তাইজুল ইসলাম এলাকায় শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর ।পরবর্তীতে তৎকালীন এডহক কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলামকে ছুটিতে পাঠিয়ে সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন।
বজলুর রহমানের সমর্থকদের দাবি, বিরোধপূর্ণ এই পরিস্থিতিরই ধারাবাহিকতায় তাকে সামাজিকভাবে হেয় ও আইনি ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা চলছে।তারা তার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।





















