উজ্জীবিত বিডি:- নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রামারবাগে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছেঁ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮ টায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গফুরের বাড়ী,ইবুর বাড়ি, হাসান আলীর বাড়িসহ ৫০টি দোকান পাট ভাংচুর করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানায়,রামারবাগ ও কুতুবাইল এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঝুট সেক্টর দখল এবং আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ নেতা আলজাজ্ব গিয়াসউদ্দিন গেসু ও ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নব্য আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
দীর্ঘদিনের কোন্দলকে কেন্দ্র করে গেসু বাহিনী ও মোস্তফা বাহিনীর লোক মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এতে মোস্তফা বাহিনীর আজিম,আকাইদ,নাজমুল,আল আমিন, হাসেম গুরুতর জখম হয়। গেসু বাহিনীর জুয়েল,দেলোয়ার,তমিজ,সজিব,মোঃমিয়া,আরিফ,আহাদ,সুমন,সুফিয়া,শিল্পী,আল
আমিন,জুয়েল-২, জামশেদুল গুরুতর আহত হয়। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এদের মধ্যে আজিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। আহত আজিমের ছোট বোন সিনিয়া জানান,রাত ৮ টার সময় গিয়াসউদ্দিন গেসু ও আজমতের নির্দেশে তাদের ভাতিজা মুরাদ,নজরুল,সাইদুলের নেতৃত্বে ২/৩ শ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর চালায়। আমার বড় ভাই আজিম বাধা দিলে গেসুর সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
গেসুর লোকজনের দাবী নব্য আওয়ামী লীগার মোস্তফা গ্রুপের সন্ত্রাসী আজিম,আকাইদ, রাজ্জাক,মোস্তফা কিছুদিন আগে গেসুর অনুসারী আশরাফকে মারধর করে। আজ ৫/৭ জন গিয়ে আশরাফকে মারধর করার কারন জিজ্ঞাসা করতে গেলে মোস্তফার লোকজন গেসুর লোকজনকে মারধর করে। পরে গেসুর লোক জন এক হয়ে গফুরের বাড়ি ভাংচুর করে আজিমসহ ৫ জনকে কুপিঁয়ে গুরুতর জখম করে।
এ খবর মোস্তফা গ্রুপের লোকজনের কাছে পৌছলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদেরের কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাত সোয়া ১০ টায় র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে।
এলাকাবাসী জানান,নেপথ্যে মোস্তফাকে শেল্টার দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা আর গিয়াসউদ্দিন গেসুকে শেল্টার দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা। নিজেদের স্বার্থে ঐ শীর্ষ দুই নেতা মুলত তাদের আধিপত্য বিস্তারে গেসু ও মোস্তফাকে লালন করছেন।
মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান,গিয়াসউদ্দিন গেসু বাহিনীর লোকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নিরীহ লোকজনকে গুরুতর জখম করে। ওরা এলাকায় নানান অপকর্ম করে বেড়ায়। মোস্তফার কাছের লোক তৈয়বুর রহমান তৈয়ব বলেন, ২০ টি পিস্তল নিয়ে গেসুর লোকজন ১০০/১৫০ টি দোকান ভাংচুর করে।
গিয়াসউদ্দিন গেসু বিদেশে অবস্থান করায় তার ছোট ভাই আজমত আলী সাংবাদিকদের জানান, আমাদের লোক আশরাফকে মোস্তফার লোক আজিম,রাজ্জাক,মোস্তফা কিছুদিন আগে মারধর করে। এ নিয়ে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এসআই সালেক তদন্ত করেন। আজ আবার আশরাফকে মারধর করলে আমাদের লোকজন মারধর করার কারন জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে মোস্তফার সন্ত্রাসীরা মারধর করে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদের বলেন,মুলত আধিপত্য বিস্তার,শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ঝুট সেক্টর দখল করতে এই সংঘর্ষ। একমাস আগে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে কোনরুপ অঘটন ঘটাতে নিষেধ করেছিলাম। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে কঠোর হবো এবং কোন পক্ষকে ছাড় দিবনা।