স্টাফ রিপোর্টারঃ- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বন্দরের কেওঢালায় গাজীপুর পেপার মিলে দীর্ঘদিন অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কারণে ২০ মে ২০১৯ সোমবার দুপুরে গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং গ্যাস চুরিতে ব্যবহৃত মেশিন জব্দ করেন।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন কাজে নিয়োজিত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিমিটেড এর সোনারগাঁও রিজিওনাল সেলস অফিসের ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাফরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বকেয়া গ্যাস বিল পরিশোধ না করায় দেড় মাস আগে তাদের বৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং গ্যাসের ব্যবহার পয়েন্ট সিলগালা করা হয়। কিন্তু দেড় মাসে তারা বকেয়া বিল পরিশোধ না করে উল্টো বিকল্প পন্থা কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে কারখানার উৎপাদন কার্যকম চালাচ্ছে। যেখানে বয়লার ও জেনারেটর সহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারিজ আমরা সচল অবস্থায় পেয়েছি, যেগুলো অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করে পরিচালনা করা হচ্ছে। আনুমানিক ৬০ হাজার পরিবারে ব্যবহারের সমতুল্য গ্যাস চুরি করে তারা ২টি শক্তিশালী জেনারেটর চালাচ্ছে। তাদের বিপুল পরিমান অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করার কারণে সরকার ব্যাপক রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা পুরো প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালাচ্ছি। তারা অবৈধভাবে গ্যাসের মাধ্যমে আরও কি কি চালাচ্ছে তা পুরোটা খুঁজে বের করার জন্য আমরা পুরো কারখানায় কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী সাংবাদিকদের জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ সরকারি কাজে সহায়তা না করে ইতোপূর্বে বাধা প্রদান করেছে এবং অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আমরা অভিযান চালিয়েছি। চুরি করে প্রতিমাসে তারা কয়েক কোটি টাকার গ্যাস ব্যবহার করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সহ ভবিষ্যতে তারা যাতে আর অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় তিতাস গ্যাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা ও বন্দরের কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হোসেন সহ জেলা ও বন্দর থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।