রাজনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী সংকট আস্থা ও বিশ্বাস। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় রাজনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে সংলাপের আগে পরস্পর পরস্পরের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। সংবিধান মানুষের জন্য। প্রয়োজনে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে মানুষের অধিকার যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে সেই পথে প্রবেশ করলে নন্দিত হবেন।
একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন তার এই আহ্বান নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী এবং ঐতিহাসিক। আমরা বিশ্বাস করি সংকটময় রাজনীতিতে এই সংলাপ একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সবদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। কিন্তু তার আগে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাতে পারে সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা যদি ভোট দিতে পারে সেই ভোটে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদেরকে স্বাগত জানাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপি।
চারদিকে কুশীলব ও শকুনের আনাগোনা। ঠিক সেই মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও সকল রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসলে সাধারণ মানুষ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার আগ্রহ পাবে। আমরা আশা করছি, ভোটের রাজনীতিতে মানুষের ফিরে আসার সংলাপের মাধ্যমে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেই সুযোগ কোনভাবেই কোন ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে নস্যাৎ না হয়।
৩১ অক্টোবর বুধবার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।