বিশেষ সংবাদদাতা : ফতুল্লা থানা যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন বৃহত্তর ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ মেহেদী হাসান শাহীনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সম্ভবত ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পরপরই ফতুল্লা থানা যুবলীগের সম্মেলন হবে।
প্রতিবেদক : আপনি কবে থেকে যুবলীগের রাজনীতি শুরু করেছেন ?
মেহেদী হাসান শাহীন : ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগ করেছি। ২০০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যুবলীগ করছি।
প্রতিবেদক : প্রথম কবে যুবলীগের রাজনীতি করার উৎসাহ পান ?
মেহেদী হাসান শাহীন : যখন থেকে আমি ছাত্রলীগ করি, তখন থেকেই যুবলীগের প্রতি আমার আলাদা একটা টান ও ভালবাসা অনুভব করতাম। তাই ২০০১ সাল থেকে যুবলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করা শুরু করি।
প্রতিবেদক : আপনি কার হাত ধরে যুবলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন ?
মেহেদী হাসান শাহীন : আমি আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল ভাইয়ের হাত ধরে যুবলীগে এসেছিলাম। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে এই পর্যন্ত তাঁর সাথে রাজনীতি করছি এবং মরার আগ পর্যন্ত তাঁর হাত ধরেই রাজনীতি করে যাব। যত বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন তাঁ সংস্পর্শে থাকবো এবং থাকতে চাই।
প্রতিবেদক : আপনি যুবলীগের রাজনীতি করে কখনও কি নির্যাতিত বা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন কিনা ?
মেহেদী হাসান শাহীন : ২০০১ সালে আমি যখন যুবলীগের রাজনীতি করা শুরু করি ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে বারবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। ২০০৩ সালের দিকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে আসি। এলাকায় প্রবেশ করলে আমার সাথে থাকা যুবলীগ কর্মী শেখ জনি, আজিজুর রহমান তমাল সহ আরো কয়েকজনকে মারধর করে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ও শেখ জনিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখে।
প্রতিবেদক : সামনে ফতুল্লা থানা যুবলীগের কাউন্সিল, কোন পদে আসীন হতে চান আপনি ?
মেহেদী হাসান শাহীন : আল্লাহর রহমতে, আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু মীর সোহেল ভাইয়ের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বো বলে আশা করি। আমি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।