উজ্জীবিত বাংলাদেশ:- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সদর মডেল থানাধীন দক্ষিন নলুয়া পাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেডি সন্ত্রাসী ময়না বেগম বাহিনীর ভাংচুর ও হামলায় জেবু ও সজল নামে দুই যুবক আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে ১১৯ নলুয়া পাড়া এলাকার ছেয়ামত আলীর পুত্র মোঃ খোরশেদ আলম উল্লেখ করেন, প্রদীপ বাবুর স্ত্রী ময়না বেগম,তার পুত্র মোঃ সাইমুন,মৃত গুল মোহাম্মদের কন্যা হেলেনা বেগম ও রাবেয়া বেগম,মোঃ সাত্তারের পুত্র মোঃ রিপনসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন সন্ত্রাসী নিয়ে গত ৩ নভেম্বর দুপুর ২ টায় মাছ বিক্রির জন্য আসলে মাছ কেনার পর মাছ বিক্রেতা মাছের পানি রাস্তার উপর ফেলে।এতে করে লেডি সন্ত্রাসী ময়না বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।আমার স্ত্রী গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ময়না বেগম আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে এলোপাথাড়ি মারধর করিয়া গুরুতর আহত করে। আমার স্ত্রী বিবাদীর বড় বোন ৩ নং আসামী হেলেনা বেগম দুঃখ প্রকাশ করিলে আপোষ করি।
গত ৫ নভেম্বর ব্যবসায়ীক কাজে বাসার বাইরে যাই। আমার ছেলেকে বাসার ভিতর টিচার পড়াইতে থাকলে আমার স্ত্রী ঘরের বাইরের রাস্তায় হাটাহাটি করতে থাকে।পূর্ব ঘটনার জের ধরে আমার বাসার ভিতর উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে একলক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
ভাংচুরে শব্দ পেয়ে আমি চিৎকার করিলে আমার ভাতিজা জেবু ও সজল এগিয়ে আসলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী রা তাদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা মোবাইল সেট,স্বর্নের চেইন,হোয়াই ট্যাব সহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যাবার বেলা এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
খোরশেদ আলম জানান,আমার ভাই মোঃ খালেকের ৩ টি সিসি ক্যামেরা ভেংগে ফেলে।এ নিয়ে থানায় জিডি করা হয়।কাউন্সিলর কবির হোসেন ও প্যানেল মেয়র বিভা হাসান শালিসী করে দেন। ময়নাকে ৩ মাসের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। ময়নার মেঝ ভাই গোলাম নবী কবির হোসেন ও সমাজপতিদের নিকট বোন ময়নার বিরুদ্ধে নালিশ দেয়। কিন্তু বিচারে ময়না আসেনাই।
এলাকাবাসীর দাবী ময়নার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করা হলে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হবে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিষয়টি তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.রুস্তম আলীকে।