কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র দলের সুপার ফাইভের মধ্যে ৩ থানার মোট ৬৩ সদস্য কমিটি নিয়ে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার পরই যাচাই বাছাই শেষে ভুয়া সার্টিফিকেটের কারনে বাদ পরে ৪৫ জন জানান রাফি উদ্দিন রিয়াদ।
অথচ সেই প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য ধরে রাখার নামে মিথ্যা বলে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পাপন।
সোমবার (২৩ মার্চ) মহানগর ছাত্র দলের প্যাডে দুই জনের স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন। যেখানে স্থানীয় মিডিয়াতে প্রকাশিত “কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সামনেই মোবাইল চোর ইয়াবা খোর বলে সাহেদকে লাঞ্চিত করলো রিয়াদ” সংবাদটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহানগরের আওতাধীন ৩ থানার ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে জমা দেন সভাপতি সাহেদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু। এর মধ্যে ৩ থানার মোট ৬৩ সদস্য কমিটি নিয়ে লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার পরই যাচাই বাছাই শেষে ভুয়া সার্টিফিকেটের কারনে বাদ পরে ৪৫ জন। তবে এ বিষয় আমরা সুপার ফাইভে থাকা ৩ জন জানতাম না। পরবর্তীতে আমরা সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সামনে বিষয়টি তুলে ধরি। সেখানে সাহেদ ও বাবু উপস্থিত ছিলো। হ্যা সেখানে আমাদের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়েছে। কারন যাদেরকে দিয়ে কমিটি সাজাঁনো হয়েছিলো তারা অনেকই প্রকৃত পক্ষে ছাত্র না। আর সেখানে আমাদের সাথে আলোচনা না করেই কমিটি সাজাঁনো হয়েছিলো। আমরা চাই দলের এই দুঃসময়ে যারা রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদের হাতেই থানা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হউক। যাতে করে ভবিষ্যত ছাত্রদলের রাজনীতি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু জমা দেয়া কমিটিতে সেটা হয়নি। যার কারনে আমরা এর প্রতিবাদ করে ছিলাম।
পরে ৬৩ জনের কমিটির মধ্যে ভুয়া সার্টিফিকেটের কারনে ৪৫ জন বাদ পরে গেছে। সেই সাথে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আমাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনার মিলমিশ করে দেন। সেই সাথে তারা নির্দেশনা দেন মহানগর ছাত্র দলের কমিটিতে থাকা সুপার ফাইভ নেতৃবৃন্দদের সমন্বয় করে পুনরায় ৩ থানার কমিটি জমা দেয়ার জন্য।
আর এই বিষয়টি যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সমাধান করে দিয়েছেন। সেখানে স্থানীয় মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ পাঠিয়েছি।
এ বিষয় সাংগঠনিক সম্পাদক পাপন বলেন, ভাই ঢাকায় আমাদের সাথে তেমন কিছুই ঘটেনি। তাছাড়া এ বিষয়ে তো আমরা কোন মিডিয়াকে কিছুই বলিনি। আর যা ঘটেছে তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সমাধান করে দিয়েছে।