পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বাজার ব্যবসায়ীদের হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলা দায়ের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে না পারায় সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দিনগত রাতে হামলায় আহত সাংবাদিক ফয়সাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সমিতির সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামী করা হয়। মামলা নং ৬৮ ( ২৩/৬/২১ইং)।
এ ঘটনায় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের নিকট থেকে কেনন ইওএস 60D মডেলের একটি ক্যামেরা ও স্যামসং A80 মডেলের একটি এবং হুয়াই A8 মডেলের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে য়ায়।
মামলার এজাহার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারী প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অমান্য করে এবং কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পাগলা বাজারের সকল মার্কেট খোলা রাখা হয়।
এমন খবর পেয়ে সাংবাদিক সোহেল আহম্মেদ, দুলাল আহম্মেদ, সাদ্দাম হোসেন শুভ ও ফয়সাল আহম্মেদ মঙ্গলবার (২২ জুন) বিকেল ৩ টার দিকে সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। এ সময় পাগলা বাজারের সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধাণ সম্পাদক বাচ্চু, মাসুদ রানা, নজরুল ইসলাম, ইমরান, রুবেল, মনির হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন মিলে উপরোল্লিখিত সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফতুল্লা রাজস্ব সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজিজুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমান সহ ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি টিম। তাদের উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের উপর এ আক্রমন করা হয়।
এ সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া সাংবাদিক সোহেল আহাম্মেদ ও ফয়সালকে আহত করে তাদের কাছ থেকে একটি স্যামসং A80 মোবাইল, একটি হুয়াই AS মোবাইল ও একটি কেনন ইওএস 60D ক্যামেরা জোরপূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায়। পরে সাংবাদিক সোহেল ও ফয়সাল দৌড়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এর গাড়ীতে উঠে প্রানে রক্ষা পান।