প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ হাজী কামাল প্রধান নামক দৈনিক বিজয় পত্রিকার প্রকাশক গত ৯ জানুয়ারী শনিবার স্থানীয় দু’টি দৈনিক পত্রিকায় দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু’কে সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে সাব্বির আহমেদ জানিয়েছেন,হাজী কামাল প্রধান প্রকাশক তাতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু এই পত্রিকা নিয়ে তার সঙ্গে কামাল প্রধানের ৩০০টকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দু’দফা চুক্তি সাক্ষর হয়েছে স্ট্যাম্পে পরিস্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সাব্বির আহমেদ সেন্টুকে ওই পত্রিকার (যতদিন পত্রিকার নিবন্ধন থাকবে)আজীবন সম্পাদক হিসেবে পরিস্কারভাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। একজন নিয়োগপ্রাপ্ত সম্পাদককে তার পাওনাদি বুঝিয়ে না দিয়ে কোনক্রমেই অব্যাহতি প্রদান করতে পারেন না। তিনি আরো উল্লেখ করেন,বিগত ৬৩মাসে তিনি কামাল প্রধানের কাছে পাওনা হয়েছেন ৩৭লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতএব ৩৭লাখ ৮০ হাজার টাকা সম্পাদকের বেতন পরিশোধ না করে কিংবা (সম্পাদকের ক্ষেত্রে) ৬ মাস আগে অবহিত না করে অব্যাহতি প্রদান সংবাদপত্র কর্মচারী বিধান আইন ১৯৫৫ এর প্রথম অধ্যায়ের ২য় উপধারায় পরিপন্থি যা পরিস্কারভাবে বর্ণিত রয়েছে। এর আগেও তার কাছে একাধিকবার বেতন চাওয়া হলে সে দেই দিচ্ছি বলে নানাভাবে টালবাহানা করে। সেন্টু আরো উল্লেখ করেন,কামাল প্রধান আগাগোড়ায় একজন প্রতারক। বিগত সময়ে সে পত্রিকাটি অন্যত্র বিক্রির অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২০ইং সালের ২৬ জানুয়ারী ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুলের সীলমোহর ও সাক্ষর জালিয়াতি করে দৈনিক বিজয় পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে বলেও সে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে।(যার প্রমান স্বরূপ সেই চিঠির স্ক্রীণশর্ট রয়েছে)। তবে ভুলবশতঃ তার অন্য একটি পত্রিকার নিবন্ধন নাম্বার দৈনিক বিজয় পত্রিকার ওই চিঠিতে লিখে ফেলায় জালিয়াতিটি ধরা পড়ে যায়। কারণ একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের চিঠিতে কখনো এতো বড় ভুল হতে পারেনা। সে সময় বিষয়টি জানাজানি হলে সে আর এমনটা করবেন বলে সম্পাদকের কাছে ক্ষমা চান। সর্বোপরি বিভিন্ন সময়ে পত্রিকার নামের ছাড়পত্র নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে লাখ লাখ টাকা বিক্রি করেছে। তাদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম নামে জনৈক সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দায়ের করেন। একই অযুহাতে শামীম ইসলাম অপরাপর সাংবাদিকের কাছে থেকে লাখ টাকা নিয়ে অখ্যাত একটি পত্রিকা ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ওই পত্রিকার কোন নিবন্ধন না থাকায় শামীম কামাল প্রধানকে আটক করে জোরপূর্বক তার টাকা আদায় করে নেন। সাব্বির আহমেদ সেন্টু একজন পেশাদার সাংবাদিক। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে সে সাংবাদিকতা পেশায় অত্যন্ত সম্মানের সাথে ক্লিন ইমেজ নিয়ে জড়িয়ে আছেন। ঠকবাজ কামাল প্রধানের এহেন জালিয়াতি এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সহযোগিতায় চেয়েছেন সাব্বির আহমেদ সেন্টু।