নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুরের এনায়েত নগর মুসলিম পাড়া এলাকায় ১৯ শে জানুয়ারী আনুমানিক রাত ১০ টায় পঞ্চায়েত কমিটি ও স্থানীয় মেম্বার বাবুল ও তার লোকজনের সাথে ড্রেন পরিষ্কারের বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি আবুল বাশার বাদী হয়ে আবুল কাসেম (৪৭), আবুল কালাম (৪৫), আবুল (৩০), শাহীন (৪৩), কাউছার (২০), মনির সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগে বলা হয়েছে কালাম তার সিমেন্টের দোকানে মাদক বিক্রি ও সেবন করত আমি পঞ্চায়েত কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে তাকে বাধা প্রদান করি সে কোনো কর্ণপাত না করা আমি চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান থাকে শাসন করে সেই থেকেই তাদের আমার প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ২১জনুয়ারি আনুমানিক সকাল ৮ টায় আমি ড্রেন পরিস্কার করতে গেলে সে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগাল দেয় আমি মান-সম্মানের ভয়ে কিছু না বলেই বাসায় চলে আসি আনুমানিক রাত দশটার দিকে সালাম তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ আমার বাড়িতে এসে গালাগালি করতে থাকলে আমি তাকে গালাগাল দিতে নিষেধ করি তখন সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সহ আমার ছেলে লোকমান ও জাকিরকে মেরে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম বাদী হয়ে লোকমান (৪০), জাকির (৩৫), আবুল বাশার (৬৫), বেলায়েত (৪৫), রফিক ( ৩২) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগে উল্লেখ করে নির্বাচনকালীন সময় থেকেই বিবাদীরা আমাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করিয়া বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি পোষণ করি আসিতেছিল ২১ জানুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটায় ড্রেন পরিষ্কারের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এলাকার সাধারন জনগণের কাছ থেকে ৫০০ -১০০০ টাকা করে চাঁদা উঠাইতে ছিল আমি ও আমার বড় ভাই বাবুল মেম্বার ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করার আশ্বাস দিয়ে টাকা উঠাইতে নিষেধ করলে বিবাদীরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া মারপিট করিতে উদ্ধ্যত হয়। এবং পরে আনুমানিক রাত দশটার সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের তিনজনকে মেরে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।