নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুরে রড চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল জলিলের বাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে রুবেল মেম্বারের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।
এ ব্যাপারে পুরান সৈয়দপুরে এলাকার মৃত লাল মিয়ার পুত্র আব্দুল জলিল বাদী হয়ে রুবেল মেম্বার কে প্রধান আসামী ও ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, পুরান সৈয়দপুর এলাকার মৃত কাদির মিয়ার পুত্র গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেল আহম্মেদের নেতৃত্বে গত সোমবার (২০ জুন) রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রুবেলের নেতৃত্বে কাশেমের পুত্র ইমরান ও রানা,কাদের মুন্সির পুত্র আনছার,আহসান উল্লাহর পুত্র রিহান,মৃত সাইজুদ্দিনের পুত্র হিমু ও শাওন,মৃত ওহাব আলীর পুত্র শুভ ওরফে নান্নু ও নয়ন,মৃত সামেদের পুত্র বিল্লাল,মনির মিয়ার পুত্র শ্যামল,ওহাব আলীর পুত্র সেলিম,মোশাররফের পুত্র নাজমুল সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী প্রথমে বাদীর মালিকানাধীন জলিল সুপার মার্কেটে প্রবেশ করে ট্রান্সপোর্টের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা,ভাংঙ্গারী দোকানে ভাংচুর চালিয়ে ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১১ টায় বাদীর বসতবাড়ীতে প্রবেশকরে ৩ টি এসি,ঘরের দরজা জানালা,আসবাবপত্র ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ২ টি হোন্ডা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এতে হোন্ডার মূল্য ৯ লাখ টাকা, বসতবাড়িতে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আব্দুল জলিলের পুত্র সোহেল জানান,রুবেল মেম্বারের নেতৃত্বে একটি চোরা চক্রের দল আলী আহম্মেদের ডর্কইয়ার্ড হতে ৪/৫ দিন আগে লোহা চুরি করে নিয়ে আসে।এ নিয়ে সালাউদ্দিন ও সাইজুদ্দিন এর সাথে ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। আমরা কিছু না জানা সত্বেও রুবেল মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী দল অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে আমার চাচা খলিল কে মারধর,বাসা,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,ভাংচুর,লুটপাট, অগ্নিসংযোগ সহ প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে রুবেল মেম্বার কে ফোন করা হলে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আছেন বলে সংযোগটি কেটে দেন।
গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফজর আলী বলেন,একটি ঘটনা ঘটেছে। আমি দু পক্ষ কে শান্ত থাকতে বলেছি।