নাসিক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধানের সহযোগিতায় পিতার সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধা মাতা ফরিদা বেগম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদা বেগম উল্লেখ করেন আমার স্বামী ১৩ বছর আগে মারা যান। ৪ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলাম।
২০১২ সালে আমার তৃতীয় ছেলে তানভীর আহম্মেদ সোহেল এসে বলে তার ও আমার বড় ছেলে শফিউর রহমান ডেনটি বর্তমানে জাপানে অবস্থানরত সহ অন্যান্য সন্তানদের নামে লিখে দেয়ার কথা বলে সকলের কাছ থেকে সই নেই।
দলিলে কি লেখা আছে বুঝতে দেয়নি। ২ বছর পর জানতে পারি প্রতারনার মাধ্যমে আমার বড় ছেলের নামে সম্পত্তি লিখে নেয়। পরবর্তীতে তৃতীয় ছেলে তানভীর আহম্মেদ সোহেলের নামে লিখে নেয়া হয়।
তারপর থেকে শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। ঘরে ঢুকতে চাইলে সোহেলের স্ত্রী সায়মা আহম্মেদ হাত পা কেটে গুম করার হুমকি দেয়।
ফরিদা বেগম আরো বলেন, সোহেলের ব্যবসায়ী পার্টনার ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধান ও শারমিন আমিরের সহযোগিতায় জমি বিক্রি করতে শুরু করে। শারমীন আমির নিজেকে রেব মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদের আতœীয় পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ তুলেন ফরিদা বেগম।
দুলাল প্রধানের কাছে ৪ বার বিচারের জন্য গেলেও তিনি টালবাহানা শুরু করেন।পরে আদালতের শরনাপন্ন হই। দেওয়ানী মামলা নং- ৯২(১৮) দায়ের করি যা আদালতে বিচারাধীন।
ও্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ,প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল,শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিব এর নাম ব্যবহার করে শারমীন আমির, দুলাল প্রধান ও সোহেল আমাদের নানান ভাবে হুমকি ও হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভয়ভীতি, আমার দ্বিতীয় পুত্র সাব্বির আহম্মেদ হিমেলের নামে বন্দর থানায় একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ,প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল,শেখ রেহানার কন্যা টিউলিবের নাম ব্যবহার কারী শারমিন আমির,দুলাল প্রধান,তানভীর আহম্মেদ সোহেলের নানান অপকর্মের হোতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও জমি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে এসপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুন ইসলাম,রুমা আহম্মেদ,মোস্তফা মিয়া প্রমুখ।