নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের ডিক্রীরচর গ্রামটি বুড়িগংঙ্গা নদীতে ভাঙ্গনের কবলে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডিগ্রিরচর ঘাট সংলগ্ন একটি অংশ সহ ডিগ্রিরচর পশ্চিমপাড়া এলাকা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নদী ভাংঙ্গনে। এর মধ্যে রেজাউল করিম মাষ্টারের একটি ঘর কয়েকদিন আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
ঝুকিতে রয়েছে হাজ্বী ওহাব ফরাজীর বাড়ী,সোলেমান হাজ্বীর বাড়ী,অলিউল্লাহ,মনির হোসেন,সলিম,মোখলেসুর রহমান, গোলাম হোসেন, আলী হোসেন, নুরুল ইসলামের বাড়ী ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
ডিগ্রিরচর পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষ থেকে বাঁশের আলগাড়া ও ইটের নোঁড়া ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চালানোর হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছেনা। ফলে নদী ভাংঙ্গনের আতংকে দিন রাত পার করছে উল্লেখিত বাড়ির মালিক সহ এলাকাবাসী।
তারা জানান,দ্রুত গতিতে গ্রীন নাইন,রফরফ,আল বোরাক,বরিশাল গামী ষ্টীমার, ঈগল সহ বিভিন্ন লঞ্চ চলাচল করায় ডেউয়ের কারনে বাড়িঘর, ডিগ্রিরচর বাজার হুমকির মুখে।নব নির্মিত ডিগ্রিরচর ঈদগাহ মাঠটি এখনই ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেয়া না হলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য আহম্মেদ আলী রানা বলেন,ভংঙ্গন রোধে পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষ থেকে বাশেঁর আলগাড়া ও ইটের নোড়া ফেলা হচ্ছে। বাকী জায়গা গুলোতে কাজ চলছে।
আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মতিউর রহমান মতি থাইল্যান্ড থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ইউপি সচিব আব্দুর রব মিয়া মুঠোফোনে জানান আমি শুনিনি। আপনার কাছে শুনলাম।
এ ব্যাপারে জানতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।