মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি:- শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের তিলই গ্রামে জোর পূর্বক জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা প্রথমে চার লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন তা না হলে হত্যাকরার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন, শরবত আলী শেখ(৬০), তার স্ত্রী অজুফা বেগম(৫০), সোনালী বেগম (২৫), প্রতিবেশী কিরণ বেগম (৩০)।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৮ সময় কনেশ্বরের তিলই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ডামুড্যা থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উক্ত জমি নিয়ে শরীয়তপুর কোর্ডে ৮ টি মামলা চলছে। সর্বশেষ শরবত আলী শেখ মামলার রায় পায়। তার ই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকালে শরবত আলী তার জায়গায় সীমানা প্রাচীর করেন। সোমবার রাত ৮ টার দিকে তার প্রতিপক্ষ টিএম আলমগীর তালুকদার, জব্বার তালুকদার ও স্বপন গোলদারের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে শরবত আলী শেখের সীমানা প্রাচীর ভেঙে শরবত আলী শেখের ওপর হামলা চালান। এতে তার পরিবারের বেশ কয়েক জন আহত হন। এবং শরবত আলী শেখের পকেটে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যপারে শরবত আলী শেখ ও তার স্ত্রী অজুফা বেগম বলেন, তিলই মোজার ১৩৯ দাগের ৫৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আমরা এই মামলার রায় পাই। তার ই ধারায় আমরা আমাদের জমিনে তাদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা রেখে টিনের বেড়া দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করি। সোমবার রাতে অর্তকৃত ভাবে দেশিও অস্ত্র ও লাঠি শোঠা নিয়ে সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন। পরে সন্ত্রাসীরা শরবত আলীর ঘরে ঢুকে তাকে ও আমার পরিবারের ওপর মারধর করেন। হাবিব ও জব্বার অনেক দিন ধরে চাদা দাবী করে আসছে। চাদা না দেওয়া তে আমাদের ওপর হামলা করেন।
প্রতিবেশী কিরণ বেগম বলেন, রাতে আমি শরবত আলীর কাকার বাড়িতে অনেক হৈচৈ শুনে বের হই এবং দেখি কি হয়েছে। তখন দেখি হাবিব, জব্বার ও তাদের স্ত্রীরা শরবত আলী কাকা কে টেনে হিছরে ঘর থেকে বের করতে দেখে আমি দৌড়ে গিয়ে শরবত আলী কাকাকে ধরি। তখন তারা আমার ওপরে চড়াও হয়ে আমার হাতে বাড়ি মারে। আমিও তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
অভিযুক্ত কাউকে বাড়ীতে পাওয়া যায় নি। মুঠোফোনে হাবিব তালুকদার সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে, ঘটনার সময় আমি দেশি ছিলাম না। আমি ঢাকা ছিলাম। এ অভিযোগ টি পুরো ভিত্তিহীন। বরং তারা আমাদের জায়গায় পিলার নির্মাণ করে। রাতে ই আবার তারা তা ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান জানান, সোমবার রাতে ঘটনা ঘটার পর আমি নিজে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ঘটনা সত্যি যে সীমান প্রাচীর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ব্যপারে শরবত আলী শেখ বাদি হয়ে ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক জনের নাম উল্যেখ করে এক টি মামলা করেছেন আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাইমিনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে উভয় পক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে এবং আমি গিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে।তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিপক্ষে ব্যবস্থা নিবো।