ফতুল্লা মডেল থানাধীন কোতালেরবাগ বৌ বাজার এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ সৈকত বাহিনীর দাবীকৃত চাদাঁ না দেয়ায় বেধড়ক মারধরে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে শাহআলম।
এ ব্যাপারে শাহ আলমের স্ত্রী পারভীন আক্তার গত ১৪ জুলাই ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, কোতালেরবাগ বউ বাজার এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র সৈকত হোসেন সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় বাদীর স্বামী শাহ আলমকে পেয়ে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সাথে যা কিছু আছে দিতে বলে।না দেয়ায় সৈকত সহ তার সহযোগীরা হত্যার উদ্যোশ্য শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। সাথে থাকা ৯৩০০/ টাকা নিয়ে যায়।যাবার বেলা দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা না নিলে ও এবিষয়ে কাউকে জানালে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দেয়।
এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় শাহ আলমকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন জাকির হোসেন ওরফে বিএনপি জাকিরের ৪ পুত্র সৈকত,সানি,শাওন ও সাগরের অত্যাচারে এলাকার বাড়ির মালিক সহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কেউ বাড়ি ঘর নির্মান,বালু ভরট, জমি কেনাবেঁচা করতে গেলে তাদের চাঁদা দিতে হবে।কেউ দিতে অস্বীকার করলে কাজ বন্ধ করে দেয়।ইট বালু,রড সিমেন্ট তাদের কাছে হবে নইলে নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে হয়।
সৈকত বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।এই বাহিনীর সর্বশেষ হামলার শিকার হলো শাহ আলম। সৈকতরা স্থানীয় হওয়ায় কেউ ভয়ে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজান ভিকটিম কে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে দেখে আসলেও ৪ দিন অতিবাহিত হতে চললেও মামলা রেকর্ড করেননি।ফলে সৈকত বাহিনীর প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে ও ভিকটিম শাহ আলমের পরিবারকে অভিযোগ তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সন্রাসী সৈকত বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাদী পারভীন আক্তার।