ফতুল্লায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে শাহ জালাল (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ওই শিশুর দূর সম্পর্কের নানা হয় বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৮ মে) রাতে অভিযুক্ত শাহজালাল কে ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শাহ জালাল ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার চর আলী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র।
জানা গেছে, ওই শিশুটির মা চলে গিয়েছে অনত্র, বাবা অপর এক নারীকে বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে দূর- সম্পর্কের নানা-নানীর সাথে ফতুল্লার হাজীগঞ্জে থাকতে হতো ৫ বছর বয়সী শিশু কন্যাটির। তবে প্রায় রাতেই হায়নার মতো শিশু কন্যার উপর ঝাপিয়ে পরতো আশ্রয়দাতা সেই দূর সম্পর্কের নানা।
শিশুটির সাহায্যার্থে এগিয়ে এসে মামলা দায়ের করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য কাজী আক্কাস আলীর পুত্র কাজী সাঈদ নামক স্থানীয় যুবক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শিশুটির মা অনত্র চলে গেলে বাবা অপর একটি বিয়ে করে। ফলে শিশুটি তার দূর সম্পর্কের নানা- নানীর সাথে হাজীগঞ্জস্থ বর্তমান ঠিকানায় একই বাসায় বসবাস করতো। গ্রেফতারকৃতের স্ত্রী মামলার বাদী প্রতিবেশী বোনের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে আসছিলো।
প্রায় সময় গ্রেফতারকৃতের স্ত্রী তাদের আশ্রিতা দূর সম্পর্কের ৫ বছর বয়সী নাতনী কে নিয়ে কাজে আসতো। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) গ্রেফতারকৃতের স্ত্রী তার দূরসম্পর্কের নাতনীকে নিয়ে কাজে আসলে শিশুটি বাদীর দূর সম্পর্কের বোন কে জানায় প্রায় সময় তার দূর সম্পর্কের নানা তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত বুলায়।
সর্বশেষ ২৫ তারিখ বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে তার নানী ঘুমিয়ে পরলে তার দূর সম্পর্কের নানা তাকে জোড় পূর্বক মুখ চেপে ধর্ষন করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে বিষয়টি তার নানী কে অবগত করা হলে সেও কাউকে না জানানোর কথা বলে।
মামলার বাদী কাজী সাঈদ জানায়, বিষয়টি তিনি জানতে পেরে নিজ দ্বায়িত্ববোধ থেকে শিশুটির পক্ষ থেকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত কে গ্রেফতারে পুলিশ কে সহায়তা করে গ্রেফতার করিয়েছি।
শিশুটির বাবা কে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা আজকের (রোববার) মধ্যেই চলে আসবে। তিনি চলে আসলে শিশুটিকে থানা পুলিশের মাধ্যমে তার বাবাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, অভিযুক্ত আসামীকে রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।