জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফতুল্লা থানাধীন হাজিগঞ্জ এলাকার বাজার সংলগ্ন রেললাইনের পাশের বাসিন্দা প্রান নাশের উদ্দ্যোশে আচমকা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে সোহেল ফকিরগংদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের পর এবার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর অদ্য ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সোহেল ফকিরগংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন নুরুল হুদা দেনুর ছেলে মোঃ রাকিবুল আলম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,উল্লেখিত বিবাদী ও তাহার পরিবারের সদস্যগণ জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরিয়া গত ১৬ মার্চ আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে আচমকা আক্রমন করে মৃত.নাসির মিয়ার ছেলে সোহেল ফকিরগং। এসময় আমার ভাই শিহাবুল আলম এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম সহ সাধারণ কাটা রক্তাক্ত জখম হইলে আমার ভাই শিহাবুল আলম ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং-৪৭, তাং-১৮/০৩/২০২৩। তারপর হইতে বিবাদীগণ বিভিন্ন সময় ও তারিখে আমার ও আমার পরিবারের সদস্য সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের প্রাণ নাশ সহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে বিবাদীগংরা আমার ও আমার পরিবারের পরিবারের সদস্য সহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের ক্ষতি সাধন করিবার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় কিছু পত্র পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা হিসেবে প্রচার করিতেছে যা আমি সহ আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদান করিয়া আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করিবার উদ্দেশ্যে এবং বড় ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর উদ্দেশ্যে খুন ও মাদক সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করায়। যাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তাহার যে কোন সময় আমাদেও বিরুদ্ধে মিথ্যা,জাল জালিয়াতিমুলক মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করিবে বলে হুমকী দিতেছে। যাহা উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকার সকলে অবগত রয়েছেন।
পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ সর্ম্পকে মোঃ রাকিবুল আলম জানান, গত কয়েকদিন আগে সোহেল ফকির ইচ্ছে প্রনোদিত হয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় গনমাধ্যমে। সেখানে উল্লেখ করেন যে,আমার পরিবারের ২/১ জন সদস্য নাকি মাদক ব্যবসা কিংবা ভুমিদস্যুতায় জড়িত। যা ডাহা মিথ্যা সংবাদ। আমার সকল ভাই যার যার ব্যবসার মাধ্যমে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার করছে। পুর্বে জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে সোহেল ফকির ও জিদানের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় গত ১৮ মার্চ একটি মামলা করেন আমার ভাই সিহাব। সেদিনের সেই ঘটনায় সোহেলের ছেলে জিদানের হাতে একটি চাকু দিয়ে আমার ভাই সিহাবের চোখে আঘাত করে। বর্তমানে আমার ভাই চোখের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।