সাদ্দাম হোসেন শুভ :- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা নয়ামাটি এলাকার হরিমহন মন্ডলের স্ত্রী শিপরা রানী মন্ডল বাদী হয়ে, বৃহস্পতিবার (৭’ই মার্চ) ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদী ১/সুমন মন্ডল (৩২), পিতা- মরন মন্ডল, ২/ মরন মন্ডল (৫৮), পিতা- মঙ্গল মিস্ত্রী, ৩/ বুলু রানী (৫০), স্বামী- মরন মন্ডল, ৪/ প্রিয়া মন্ডল (২৬), স্বামী- সুমন মন্ডল, উপরোক্ত চার জনকে আসামী করা হয়েছে। বিবাদীদের সবাই পাগলা নয়ামাটি এলাকার একি পরিবারের সদস্য। অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, উল্লেখিত বিবাদীগণ শিপরা রানী মন্ডলের আত্মীয়। তাদের সবাই উপরোক্ত ঠিকানায় একই বাড়ীতে বসবাস করেন তারা ।
এমতাবস্থায় গত প্রায় ০৩ মাস পূর্বে ২নং বিবাদী উক্ত বাড়ীতে যৌথ ভাবে টয়লেট নির্মান করার কথা বলিয়া বাদীর নিকট হইতে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টয়লেট নির্মান কাজ শেষ না করিয়া বিভিন্ন অযুহাতে সময় বিলম্ব করিয়া আসিতেছিল। এতে করিয়া বাদীর পরিবারের সদস্যদের টয়লেটে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়। উক্ত বাদী শিপরা রানী মন্ডলের স্বামী হরিমহন মন্ডল ও তার ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডল সকালে উপরোক্ত ঠিকানার বাসায় যাইয়া ২নং বিবাদীকে টয়লেট নির্মানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে ২নং বিবাদী তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
তখন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ২নং বিবাদীর নির্দেশে ১নং বিবাদী তার ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডল’কে এলোপাথারী কিল-ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর নীলা-ফুলা জখম করে। তখন শিপরা রানী মন্ডলেরর স্বামী সহ তার ছেলেকে বাচাইতে গেলে উল্লেখিত ৩ ও ৪নং বিবাদীরা শিপরা রানী মন্ডলের চুলের মুঠি ধরিয়া এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারাসহ ১ ও ২নং বিবাদী তার স্বামীকে লোহার রড দ্বারা এলোপাথারী ভাবে পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর নীলা-ফুলা জখম করে।
একপর্যায়ে ১নং বিবাদী শিপরা রানী মন্ডলকে লোহার রড দ্বারা এলোপাথারী পিটাইয়া হাত ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর নীলা-ফুলা জখম করে। ৪নং বিবাদী শিপরা রানী মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলার ধোর টিপিয়া ধরে। ১নং বিবাদী তার পরিহিত কাপড় চোপর টানিয়া খুলিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসিয়া বিবাদীদের হাত হইতে রক্ষা করিলেও বিবাদীরা পরবর্তী সময় সুযোগমত তাদের সবাইকে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মামুনুল আবেদ বলেন, অভিযোগে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।