নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার মো.নুরুদ্দিন মিল্কির ছেলে ফেরিওয়ালা মনির হোসেন হত্যা মামলার কোন ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ বরং মামলার তদন্ত ও আসামী না ধরার ফলে পুলিশের গাফলতির চিরচেনা মুখটি ভেসে উঠেছে সর্বজনের কাছে। মনিরকে হত্যার পর তার পিতা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৩৭ ( ৮/৮/১৮ইং)।
দীর্ঘ এক বছরেও কোন সুরাহা মেলেনি ফতুল্লার মনির হত্যা মামলার বিষয়টি। মামলায় একাধিক আসামী থাকলেও রংমালা নামে এক আসামীকে গ্রেফতার হলেও বাকী আসামীরা দিব্ব্যি ঘুরে বেড়ালেও মামলার বর্তমানে দায়িত্বে থাকা পিবিআই কাউকে ধরছে না অভিযোগ নিহত মনিরের পরিবারের সদস্যদের।
মনির হোসেন হত্যা মামলার বাদী তার পিতা মো.নুরুদ্দিন মিল্কির দায়ের করা মামলা সুত্রে জানা যায়,মনির হোসেনের প্রথম স্ত্রী ৭ বছর পুর্বে তাকে ফেলে চলে গেলে মামলার ১ নং আসামী সিফাতের শাশুড়িকে বিয়ে করেন প্রায় ১ বছর পুর্বে। বিষয়টি জানা জানি হলে সিফাতের সাথে মনিরের শত্রুতা শুরু হয়। সে সুত্র ধরেই গত ৭/৮/১৮ইং রাত ৮টায় সিফাত তার অজ্ঞাত ২/৩জন সহযোগিকে নিয়ে দাপাইদ্রাকপুর জোড়পুল এলাকায় মামলার অপর বিবাদী বাবুর বাড়ির পাশে খালি জায়গায় নিয়ে মারধর করে। তাদের বেধড়ক মারপিটে আমার ছেলে মনির হোসেন গুরুতর রক্তাক্ত জখম ও অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় সাকিব নামে এক যুবক আমার ছেলেকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ দিকে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ রংমালা নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। মামলার ১,২,৩ নং আসামী এলাকাতে দিব্যি ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেমন গুরুত্ব না দেয়ায় এবং মামলার বাদীকে প্রতিনিয়ত হুমকী প্রদান করায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিনানিপাত করছেন নুরুদ্দিন মিল্কি।
এ দিকে ফেরিওয়ালা মনির হোসেনকে হত্যার পরে তার পোস্টমের্টম রিপোর্টে প্রতিবেদন এসেছে যে মনিরের মৃত্যু হয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারনে। মনির হোসেন হত্যা মামলায় পুলিশী তেমন কোন সহযোগিতা পাচ্ছেনা নিহতের পরিবারের সদস্য এমনটাই অভিযোগ তাদের। তারা জানান,আসামী সিফাত প্রকাশ্যে ঘুরছে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা। আসামীকে গ্রেফতারের পরিবর্তে তার ঘরের যাবতীয় মালামাল ক্রোক করে নিয়ে এসেছিলেন প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই দিদারুল আলম। আসামীর মালামাল ক্রোকের বিষয়ে আদালতের কোন নির্দেশ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান,আমরা মামলা করছি থানায় আদালতে নয়।
এ বিষয়ে নিহত মনিরের পিতা নুরুদ্দিন মিল্কি জানান, বাবা আমরাতো ২/৩ দিন পর পরই পিবিআইতে যাচ্ছি সেখানে কর্মকর্তা মোস্তফা স্যার আমাদেরকে বলছেন অতিদ্রæতই আসামীদেরকে ধরা ধরা হবে। এমন শান্তনাতেই রয়েছি। বাকীটা আল্লাহ’র হাতে। তিনি আরও বলেন,মামলা ১,২,৩ নং আসামীকে ধরতে পারলেই সবকিছু জানতে পারে পুলিশ কিন্তু তাদেরকে কেন ধরা হচ্ছেনা তা বুঝিনা। গত কয়েকদিন আগেও এক আসামী এখান থেকে বাসা-বাড়ি অন্যত্র পরিবর্তন করে চলে গেছে।
মনির হত্যা মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মোস্তফার সহিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,মামলায় একজন আসামী গ্রেফতার রয়েছে। বাকীদেরকেও অতিদ্রæত আইনের আওতায় হবে। তাছাড়া আসামীরা সবাই ভাসমান হওয়াতে আমাদের একটু কষ্ট হচ্ছে তবে আমি আশাবাদী অতি অল্প সময়েই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।