আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোবারক হোসেন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের পদধারী অনেক নেতার চেয়ে শামীম ওসমানের কাছে আওয়ামী লীগ বেশি নিরাপদ।
ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে পরিচিত হয়ে উঠেন শামীম ওসমান। ১৯৮০ সালে তিনি নারায়নগঞ্জ তোলারাম কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তৎকালিন সময়ে সেনা শাসক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নারায়নগঞ্জে আসলে তার গাড়ীবহর কয়েক ঘন্টা আটকিয়ে দেন শামীম ওসমানের নেতৃত্বে তৎকালীন ছাত্রলীগ। এরপরে সারাদেশের ছাত্র সমাজের কাছে পরিচিতি পায় শামীম ওসমান। এক পর্যায়ে শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়।
১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমানকে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসন নারায়নগঞ্জ-৪ থেকে দলীয় মনোনয়ন দিলে সে জনগণের বিপুল ভোটে বিএনপির তৎকালীন এমপি কমান্ডার সিরাজুল ইসলামকে পরাজিত করেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ, আর সেই থেকে তার নিজ এলাকায় ইতিহাসের সর্বকালের স্মরনীয় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করে জনমনে স্থান করে নেয় শামীম ওসমান।
তিনি আরো বলেন, শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও জামাতের শীর্ষ নেতা গোলাম আজমকে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে নিষিদ্ধ, জনতার আদালতে সকল যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকি ফাসিঁ এবং শত বছরের পুরাতন দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তর নিষিদ্ধ যৌন পল্লী নারায়নগঞ্জ থেকে উচ্ছেদ এবং পতিতাদের পূর্নবাসন করেন।
ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর বটতলা রেললাইন এলাকায় ২৫ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টায় যুবলীগ নেতা পাপনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে এসব কথা বলেন।
দাপা ইদ্রাকপুর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর সাউদ । এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ এনায়েত হোসেন খোরশেদ, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন শুভ প্রমুখ।