পাগলা বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে দোকান প্রতি ৩০০ টাকা টাকা করে চাদাঁ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির বিরুদ্বে।
গত দুদিন ধরে পাগলা বাজার ব্যবসায়ীক বহুমুখী সমবায় সমিতির নিয়োজিত নির্দিস্ট ব্যক্তিরা প্রতিটি দোকান থেকে চাদাঁ আদায় করছে বলে জানা যায়।
এতে করে পাগলা বাজারের ছোট- বড় সকল ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হলে ও সমিতির সাথে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারনে প্রতিবাদ করার সাহসটুকু পর্যন্ত কেউ করছেনা।
জানা যায়,পাগলা বাজার ব্যবসায়ীক বহুমুখী সমবায় সমিতির নাম করে গত দুই দিন ধরে পাগলা বাজারে অবস্থিত প্রায় সাত শত দোকান- ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছেৃ
দোকানীরা জানায়, সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে সরকার।নির্দেশনানুযায়ী তারা ও সকালে খুলে বিকেল ৪ টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে ফেলে।কিন্তু গত তিন দিন পূর্বে সমিতির কর্মকর্তারা দোকানে এসে জানায়, সরকার ৪ টা পর্যন্ত দোকান খোলার নির্দেশ প্রদান করলে ও পাগলা বাজারের দোকান- পাট আরো ২/৩ ঘন্টা বেশী অর্থাৎ ইফতার পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারবে।সাংবাদিক এবং পুলিশ ম্যানেজ করেই সমিতির পক্ষ থেকে এ সির্দ্বান্ত নেয়া হয়েছে।বিনিময়ে প্রতি দোকান থেকে ৩০০ টাকা করে দিতে হবে।উত্তলোনকৃত টাকা সাংবাদিক,পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া হবে বলে তারা জানান।এর পর থেকে প্রতি দোকান দোকান থেকে ৩০০ টাকা করে চাদাঁ আদায় করা হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়।সূত্রটির দাবী,গত তিন দিন পূর্বে এ বিষয়ে সমিতির কার্যালয়ে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।এবং সে বৈঠকেই চাদাঁ আাদায়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
এ দিকে চাদাঁ আদায়ের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।প্রতি দোকান থেকে উত্তোলনকৃত চাূদার ৩০০ টাকা ফেরত চেয়ে জাহের মোল্লা নামক পাগলা বাজারের এক ব্যবসায়ী তার নিজ ফেইসবুক আইডিতে লিখেছেন সমিতির উপদেস্টারা যেনো চাদাঁ উত্তোলনের বিষয়টি নজরে নেন।
চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমরা কারো নিকট থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করছিনা।দোকানীরা ইচ্ছে করেই টাকা দিয়ে যাচ্ছে।কারন হিসেবে তিনি জানান,সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে আমরা প্রতিটি মার্কেটের বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছি,মাইক লাগিয়েছি,হ্যান্ড মাইক দিয়ে মাইকিং সহ নানা ব্যবস্থা করেছি।আর এ সকল কাজের জন্য বহু সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।দোকানীদের দেয়া অর্থ এ সকল কাজেই ব্যয় করা হবে বলে তিনি জানান।