ঢাকা জেলায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বৌবাজার আমবাগিচা এলাকার ভাড়াটিয়া ছালা ব্যাবসায়ী ঝাড়ু মেম্বার যার গ্ৰামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা মিঠা মইন থানা কাঞ্চন পুর গ্ৰামে।
একেই গ্ৰামের বাসিন্দা শফিক মেয়ে দুই সন্তানের জননী শাপলা বেগম এর ঝগড়া হয় তার প্রবাসী স্বামীর সাথে শাপলার স্বামী প্রবাসে যাওয়ার সময় শাপলার বাবার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল সেই টাকা ফেরত না পেয়ে শাপলা তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে।
আর এই ঝগড়ার বিষয়টি জানতে পেরে এই সুযোগ কাজে লাগায় ঝাড়ু মেম্বার। শাপলা কে বিদেশে পাঠানোর নাম করে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তার ভাড়া করা বাসায় পরে রাতের বেলায় ঝাড়ু মেম্বার যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে রাতভর শাপলা কে ধর্ষণ করে।
পরের দিন সকাল বেলা ধর্ষণের বিষয়টি শাপলা প্রকাশ করতে চাইলে তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। এবং তাকে একটি ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শাপলা কে আটকে রাখে ঐ ঝাড়ু মেম্বার। দুই দিন পর শ্রী বাবু নামক একজন হিন্দু কে ডেকে এনে নাটকীয় ভাবে সাদা কাগজে বিয়ে পড়ায় মুসলমান মেয়ে শাপলার। যে বিয়ের কোন কাগজপত্র নেই।
তার পর কয়েক দিন যাবত শাপলা কে আটকে রেখে লাগাতার ভাবে ধর্ষণ করে ঐ হিন্দু শ্রী-বাবু ও সহযোগী শাহআলম। কয়েক দিন পর কৌশলে পালিয়ে আসে শাপলা। পালিয়ে আসার পর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানায় শাপলা।
সাংবাদিকদের সহযোগিতায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে গেলে কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আক্কাস জানান আসলে শাপলা নামের মেয়েটি চক্রান্তের শিকার একটি প্রতারক চক্র মেয়েটি কে ফাঁদে ফেলে লাগাতার ধর্ষণ করেছে প্রথমে ঝাড়ু মেম্বার আর পরে শ্রী- বাবু । আমি ঝাড়ু মেম্বার কে গ্রেফতার করেছি সে এখন জেলহাজতে রয়েছে ।
আর শ্রী-বাবু এবং শাহআলম পলাতক রয়েছে গ্ৰেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনটি মামলা হয়েছে তিন মামলায় ঝাড়ু মেম্বার কে গ্ৰেফতার দেখানো হয়েছে বাকিরা পলাতক । এই বিষয়ে শাপলার বাবা শফিক বলেন আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি আমার মেয়ের মতো আর কোন মেয়ের সাথে যেন এধরনের কাজ করতে না পারে।