নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলা মধ্য রসুলপুর জসিম মার্কেট এলাকার জসিম নামের এক ব্যক্তি তার ব্যবহৃত Md Joshim নামীয় ফেসবুক আইডিতে বুধবার (২৮ এপ্রিল) এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন টাকা পয়সা হলে আগে মানুষ কুত্তা পালতো আর এখন সাংবাদিক পালে। বেশী টাকা ওয়ালা হলে Tv channel ও খুলে। (যদিও সব channel এর আওতাভুক্ত নয়)।
জাতির বিবেক সমাজের দর্পণ সাংবাদিকদের কুকুরের সাথে তুলনা করায় ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পদক ও উজ্জীবিত বাংলাদেশ নামীয় একটি নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিক মোঃ ফয়সাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন মোঃ জসমি তার ফেসবুক অাইডিতে সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে সাংবাদিকদের সম্মান নষ্ট করা সহ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অপরাধ করেছেন।
বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক সংগঠন ও সংবাদকর্মীদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং জসিমকে আইনের আওতায় এনে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় জসিম ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক কোন ব্যক্তিত্ব না হলেও কঠোর বিএনপি সমর্থিত। প্রায় ১০ বছর আগে টিউশনির মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করত জসিম। আনুমানিক ২০১০ সালে মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতনে শান প্যাকেজিং লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি হয় জসিমের।
২০১০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সে প্রায় কোটি টাকার মালিক। সিজান প্রপার্টির পার্টনারশিপ, উত্তরায় প্লাট, এবং রসুলপুর এলাকায় দুইটি বহুতল ভবনের মালিক জসিম। ২-৩ বছর আগে কোম্পানি সহকারি ডিরেকটর বাবলু মারা যায়। শূন্য পদের সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিতে ভুল করেননি জসিম কিছু দিন আগে দুর্নীতি করে ঐ কম্পানির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে জসিমের বিরুদ্ধে। খবরটি কোম্পানির এমডি হালিমা নাহারের কান পর্যন্ত পৌঁছানোর পর যার মাধ্যমে জসিমের চাকরি হয়েছিল তাকে ও জসিম কে বহিস্কার করে জসিম হাতে-পায়ে ধরে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে চাকরিতে বহাল থাকলেও যার মাধ্যমে চাকরি হয়েছিল তার চাকরি চলে যায়। চাকরি নামক সোনার হরিণ জসিমের কাছে আলাদিনের চেরাগ। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া জসিম টাকার গরমে এখন সে মানুষকে মানুষ মনে করে না’।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী অফিসার এসআই কৃষ্ণ পোদ্দার বলেন আমি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।