জালিয়াতের মাধ্যমে সহোদর দুই ভাইয়ের ভূমি অধিগ্রহনের জমি ও স্থাপনার বিল আত্মসাৎতের মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে, নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহন শাখার অসাধু কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নিয়ম বহিভূতভাবে কোন ধরনের যাচাই বাছাই ছাড়াই দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ অধিগ্রহনের অর্থ প্রতারক সফিকুলের হাতে তুলে দেন। এঘটনায় অপর দুই সহোদর ভাই রবিউল ইসলাম এবং মৃত রফিকুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে অধিগ্রহনের অর্থ সঠিক বল্টনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুৃরাইয়া আক্তার জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আয়ের উৎস ছিল অধিগ্রহনে চলে যাওয়া শেষ সম্বল এই জমিটুকু। সরকারী কাজে ব্যবহারের জন্য যেসময়টাতে ন্যায্য মূল্যে জমি অধিগ্রহন নেয়া হচ্ছিল আমরা ধারনা করেছিলাম এ অর্থ দিয়ে অর্নত্র জমিক্রয়সহ ছোটখাট ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে আমাদের জীবনটুকু অতিবাহিত করতে পারবো। কিন্তু সরকার ঠিকই আমাদের অর্থ প্রদান করেছেন কিন্তু আমরা পাইনি। জেলা অধিগ্রহনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতারক শফিকুল ইসলাম অধিগ্রহনের ২৯ লাখ টাকা একাই আত্মসাত করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সুরাইয়া আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার এতিম সন্তানকে নিয়ে আমি এখন কোখায় যাব? আমার শেষ ভরসা টুকুও প্রতারক শফিকুল কেড়ে নিল! জেলা প্রশাসক মহোদয় আমার এতিম সন্তানের ন্যায্য পাওনা আদায়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।
অপর ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, অধিগ্রহনকৃত জমির অংশীদার আমার মৃত ভাইয়ের সন্তান এবং আমি ওয়ারিশ। কিন্তু ওয়ারিশ বীহিন কিভাবে কতৃপক্ষ প্রতারক শফিকুলের কাছে অর্থ তুলে দেন এটাই আমার প্রশ্ন? এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ভূমি অধিগ্রহন শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যিিজষ্ট্রেট খাদিজা বেগম জানান, উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলে আমরা কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিব। আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অব্যশই ভোক্তভোগীদের আমাদের লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে।