মাত্র ১ হাজার টাকার বিনিময়ে গফরগাঁওয়ের দত্তেরবাজার ইউনিয়নের একটি গ্রামের কয়েকটি বসত ঘর, গোয়াল ঘর, খড়ের গাদা এবং দত্তের বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত । শুক্রবার রাতে এখলাছের যাত্রাসিদ্ধি গ্রামে এখলাছের বাড়িতে আগুন লাগানোর সময় পেট্রোলসহ জনতার হাতে আটক হয় দুর্বৃত্ত দলের অন্যতম সদস্য সজিব (২০) নামে এক যুবক। জনতার হাতে আটক যুবক সজিব জনতা ও পাগলা থানা পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এ তথ্য জানা গেছে । আটক সজিবের বাড়ি পার্শ্ববর্তী লামকাইন গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে।সজিবকে শনিবার দুপুরে অlদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পাগলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মাসুদ ও তার দুই সহযোগীসহ যাত্রাসিদ্ধি গ্রামে এখলাছের বাড়িতে আগুন লাগাতে যায় । এখলাছ দত্তেরবাজারের ব্যবসায়ী। দুই বোতল পেট্রোলসহ এরা একলাছের বাড়ির লাকড়ি রাখার একটি ঘরে অবস্থান করছিল তখন বাড়ির লোকজন এদের ঘেরাও করে। সজিবের দুই সহযোগী মাসুদ ও লিটন পালিয়ে গেলেও সজিব জনতার হাতে আটক হয়।
গত তিন সপ্তাহ যাবত ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার বারইগাঁও গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে বাজারের একটি দোকানে একের পর এক রহস্যময় আগুনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পুরো গ্রমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কোন সময় আগুন লেগে পুড়ে ছারখার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাবে এই আতংকে ভুগছে এ গ্রামের প্রায় মানুষ ও দত্তেরবাজারের ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে রহস্যময় আগুনে সর্বশান্ত হয়ে গেছে একজন ব্যবসায়ী ও একটি পরিবার , কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আরেকটি পরিবারের।
সজীব তার জবানবন্দিতে জানায়, এসব ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও দত্তেরবাজারের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী, লামকাইন গ্রামের হান্নান মাষ্টারের ছেলে রাসেল।রাসেল এক একটি বাড়িতে আগুন লাগানো ঘটনায় ৩/৪ জনের দুবৃর্ত্ত দলকে ৫/৬ হাজার টাকা দিত।৫/৬ হাজার টাকা ৩/৪ জন ভাগ করে নিত। সজীব জানায় সে একটি লাগানোর ঘটনায় ১০০০ টাকা পেয়েছে।সজিব জানায় তারা তারা দরগাতলী বাজারের সোহেলের দোকান থেকে পেট্রোল ক্রয় করে মানুষের বাড়িতে আগুন লাগাতো ।
বারইগাঁও গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ও এলাকায় আতংক ছড়ানোর জন্য রাসেল টাকা খরচ করে দুর্বৃত্তের দল ভাড়া করে এ পৈশাচিক কাজ করছে।