মহানগর যুবলের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বলেছেন, মহানগর যুদলের স্বেচ্ছাচারী কমিটির তিব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ কমিটিকে বাতিল করে নতুন করে যোগ্য নেতাদের সাথে আলোচনা করে নতুন কমিটি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
দেশমাতা খালেদা জিয়া আজ অন্ধকার কারাগারে অথচ দলীয় লোকেরাই দলের সাথে স্বেচ্ছচারিতা করছে। তারা ফটোসেশনের রাজনীতিতে লিপ্ত। যার কারনে শহীদ জিয়ার আদর্শের রাজনীতি আজ বিপথে পরিচালিত হচ্ছে আমরা এর সংস্কার চাই।
ঘরে বসে থেকে কখনো সঠিত ধারার রাজনীতি উপহার দেয়া যায় না। যে কারনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনও মিথ্যে মামলায় কারাবাস খাটছে।
শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে উজ্জিবিত রাখতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সঠিক ধারা রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে। তবেই দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব।
সোমবার বিকেলে কুড়িপারা মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদের বাসভবনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মহানগর যুবদলের সহসভাপতি আহাম্মদ আলী বলেন, ইতিপূর্বে মহানগর যুবলীগের কমিটির সভাপতি মাকসুদুল আলম খোরশেদ চরম স্বেচ্ছাচারিতা করে দলের যোগ্য ব্যাক্তিদের দূরে রেখেছে তাই আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যোগ্য ব্যাক্তিদের যোগ্য আসনে বসাতে হবে।
বিগত সময়ে বন্দর উপজেলা যুবদলের মনগড়া একটি কমিটি আনলেও তৃনমুল যুবদলকর্মীদের তোপের মূখে পড়ে মাকসুদুল আলম খোরশেদ বিপাকে পড়েন। পরে কেন্দ্রীয় কমিটি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মাকসুদুল আলম খোরশেদ তার পছন্দমত ব্যক্তিদের ওই কমিটিতে রাখেন তাই সেই কমিটি তখন বানচাল করে দেন।
বিএনপির মত জনপ্রিয় একটি অঙ্গদল যুবদলের মধ্যেই যদি গনতন্ত্র না থাকে তাহলে সরকারী দল থেকে আমরা গনতন্ত্র পূর্ণরুদ্ধার করব কিভাবে। আমরা মহানগর যুবদলের এই স্বেচ্ছচারী কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বন্দরে মহানগর যুবদলের সভাপতি ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোয়ার হোসেন শোকন, সহসভাপতি মহানগর যুবদল আহাম্মদ আলী,জয়েন্ট সেক্রেটারী সাগর প্রধাণ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ,মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম রানাসহআইন বিষয়ক সম্পাদক বরজাহান, ২৫নং ওয়ার্ড যুদলনেতা মনির হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস, ১৯নং ওয়ার্ড যুবদলনেতা আলম, রুবেল, মামুন, মিজান, সোহেল, ফরহাদ, হাসান মৃধা, সাহেব আলী প্রমূখ।