সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন
উজ্জীবিত বিডি ডটকম:- ফাইনাল খেলতে না পারায় হতাশ বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনা করে আয়োজকদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে জানান অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমি। শক্তিশালী লাওসের বিপক্ষে খেলতে পারলে ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা আরো বাড়তো বলে মনে করেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি।
মেয়েদের ফুটবলে গণজোয়ার। আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অদম্য কিশোরীরা। শেষপর্যন্ত খেলাটাই হলো না। তবু কিশোরীদের একনজর দেখতে দর্শকদের আগ্রহের কমতি নেই।
দর্শকদের মতো উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছিলেন ফুটবলাররাও। যে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে সমুদ্র উপকূলে সেটিই ছড়িয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেও। তার প্রভাব এতোটাই যে, মাঠে ম্যাচ গড়ানোই গেলনা! তবে মেয়েরা মেনে নিয়েছেন বাস্তবতা। ট্রফি ভাগাভাগিতেই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ফুটবলারদের।
টুর্নামেন্টের শক্ত দাবিদার ছিল লাওসও। আধিপত্য ধরে রেখে পাড়ি দিয়েছে সব বাধা। তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ১৮ গোল। প্রথমবারের মতো আয়োজিত টুর্নামেন্টটির শিরোপা বাংলাদেশ জিততে পারতো কিনা, সেটি হয়তো ম্যাচ গড়ালেই বলা যেত। তবে শক্তিশালী লাওসের মেয়েদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে নিশ্চিতভাবেই বঞ্চিত হয়েছে মেয়েরা।
পল স্মলি বলেন, পেশাদার হিসেবে আমি অবশ্যই হতাশ। আমাদের প্রস্তুতি ছিল ওদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য। জয়ের ব্যাপারে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসও ছিল। তারপরও লাওসকে দেখুন। ওরা অনেক শক্তিশালী দল। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে। লাওসের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেললে মেয়েদের অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ হতো।
ট্রফিটা ভাগাভাগি করতে হলেও, টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ফুটবলারদের উন্নতি লক্ষ্যণীয় বলেও মনে করেন পল স্মলি।