সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন
বাঙালিদের প্রিয়নেতা ইংরেজ তারিখে স্বাধীন ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু’র ১২২তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। আজ ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ সকাল ১১ টায় সাংবাদিক নির্মল সেন মিলনায়তনে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় পার্টি- জেপি’র নির্বাহী সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী।
প্রধান আলোচক বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন ন্যাপ-ভাসানী চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, নারী নেত্রী এলিজা রহমান ও ছাত্রনেতা আবদুর রশিদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি সরদার মোহাম্মদ আলী বাদল, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন।
প্রধান অতিথির ভাষণে সাদেক সিদ্দিকী বলেন, ইংরেজদের শাসন শোষণ থেকে ভারতবাসীকে মুক্ত করে জাতি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সবার বাসোপযোগী স্বাধীন ভারত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। কিন্তু ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজী মারা যাওয়ার তৎকালীন ভারতবর্ষের নেতা দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে হিন্দুস্থান পাকিস্তান দুইটি দেশের জন্ম দেয়। সেই ভুল সিদ্ধান্ত আজ পর্যন্ত ভারতবাসীকে খেসারত দিতে হচ্ছে। কিন্তু এখন সেই ভুল সিদ্ধান্তকে মিথ্যা প্রমাণিত করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতিকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে নেতাজীর পথ ধরে যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। আমরা সেই স্বাধীন বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা ও নেতাজীর কাঙ্খিত অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো।
লায়ন গনি মিয়া বাবুল বলেন, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বাংলাদেশ গড়তে পারলেই নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যদি ঐক্যদ্ধ থাকতে পারি তাহলে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ সাম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশ থাকবে না।